ট্রাকচাপায় নিহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেলের স্বরণে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধা ৬টায় দুর্ঘটনাস্থল শহীদ হবিবুর রহমান হল মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে উক্ত কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মোমবাতি প্রজ্বলন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সারা বছরই অনেক দূরত্ব লেগে থাকে। যখন আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যায়, তখনি একসঙ্গে হয়ে আমরা আন্দোলন করি। গতকালের ছাত্র-শিক্ষক একসঙ্গে খোলা মাঠে আলোচনায় বসার যে দৃশ্য তা আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি থাকলেই তো সম্প্রীতি সৃষ্টি হবে। হিমেল মারা গিয়ে এই সম্প্রীতির পথ উন্মোচন করেছেন। হিমেল তার ব্যবহার দিয়ে আমাদের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবে।
সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি উত্তম কুমার রায় বাপ্পি বলেন, আজকে আমাদের প্রিয়মুখ হিমেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণে আমাদের মধ্যে নেই। তার মৃত্যু কোনো সাধারণ মৃত্যু নয়, তা একধরনের হত্যাকাণ্ড। এর জন্য দায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের যে দাবিগুলো মানার আশ্বাস দিয়েছেন তা পূরণ না করা পর্যন্ত আমাদের সবাইকে একসঙ্গে সজাগ থাকতে হবে। এসময় হিমেলের নামে বৃত্তি ফাউন্ডেশন গঠন করার দাবি করেন তিনি।
মাইক্রোবায়লজি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক অমিত কুমার দত্ত বলেন, সেদিনের মত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা যেন দ্বিতীয়বার না ঘটে সে সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। দুর্ঘটনার কারণগুলো চিহ্নিত করে তা রোধ করার ব্যাপারে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর, হিমেলের সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধবসহ দেড় শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হলের সামনে নির্মাণাধীন বিজ্ঞান ভবনের পাশে ট্রাক চাপায় নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেলের।