• ঢাকা
  • রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৫ মুহররম ১৪৪৬

ইবির জিয়া হলে ভর্তিচ্ছুদের কাছে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ


ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ০৬:৪৮ পিএম
ইবির জিয়া হলে ভর্তিচ্ছুদের কাছে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের কাছে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শাহ মো. মিজানুর রহমান ওই হলের সহকারী রেজিস্ট্রার বলে জানা গেছে।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরমে হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর নিতে এলে এ বাড়তি টাকা নেন অভিযুক্ত মিজানুর রহমান।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কাগজপত্র জমা দেওয়া শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয় রোববার থেকে। ভর্তির সময়ে হল ফি প্রদানপূর্বক ভর্তি ফরমে হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর নিতে হয় শিক্ষার্থীদের। এসময় নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে বাড়তি ১০০ টাকা নেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে নিয়ে গেলে তাদের কাছে বাড়তি টাকা নেয়নি বলে জানান কয়েকজন শিক্ষার্থী। অন্তত ১০ জন নবীন শিক্ষার্থীর কাছে বাড়তি টাকা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হলে বিষয়টি স্বীকার করেন। হলের বেতনহীন কর্মচারী শোভনকে দেওয়ার জন্য তা গ্রহণ করেছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে শোভনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “আদায় করা টাকার অর্ধেক আমাকে দেয় আর অর্ধেক তিনিই (মিজানুর রহমান) রেখে দেন।”

ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তি হতে আসা ইমতিয়াজ জানান, হলের কাগজপত্র জমা দিতে গেলে হলের বেতনহীন কর্মচারীর নামে হলের রেজিস্ট্রার বাড়তি ১০০ টাকা গ্রহণ করেন। এসময় আরও কয়েক শিক্ষার্থীর কাছেও টাকা নেওয়া হয়েছে।

ইব্রাহিম নামের আরেক ভূক্তভোগী জানান, এক শিক্ষার্থীর কাছে খুচরা টাকা না থাকায় এক হাজার টাকা রেখে দেন। পরে একশত টাকা রেখে বাকি টাকা ফেরত দেন।

বিষয়টি জানতে পেরে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা হল অফিসে তালা দেন। এ সময় ভেতরে আটকে পড়েন কর্মকর্তারা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হল অফিসে আবদ্ধ ছিলেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি ৪-৫ জন শিক্ষার্থীর কাছে বাড়তি টাকা নিয়েছে। এটা চরম অন্যায় করা হয়েছে। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) আমরা তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

Link copied!