• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বকেয়া টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিকের দাড়ি ছিঁড়লেন ছাত্রলীগ নেতা


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম
বকেয়া টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিকের দাড়ি ছিঁড়লেন ছাত্রলীগ নেতা
বা পাশে ছাত্রলীগ নেতা অভি এবং ডানে ভুক্তভোগী ক্যান্টিন মালিক

বকেয়া টাকা চাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সূর্য সেন হলের ক্যান্টিন মালিককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ সময় ক্যান্টিন মালিকের দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সূর্য সেন হল ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম আরাফাত হোসাইন অভি। তিনি সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী।

ভুক্তভোগী ক্যান্টিন মালিক ফাহিম হোসেন বলেন, “অভি ভাই গত পরশু (১০ ফেব্রুয়ারি) ক্যান্টিনে খাবার নিয়ে যান। তখন আমি তাকে আগের পাওনা টাকা দেওয়ার বিষয়ে বলি। সে সময় তিনি কিছু না বলে খাবার নিয়ে যান। পরে গতকাল (১১ ফেব্রুয়ারি) তিনি আর আসেননি। আজ (সোমবার) যখন আবার দুপুরে খাবার নিতে আসেন, তখন আমি ভাইকে পাওনা টাকার ব্যাপারে বলি। পরে তিনি আজকের খাবারের টাকাও বাকি খাতায় লিখে রাখতে বললে আমি ম্যানেজারকে দিয়ে লিখে রাখি। এর ঠিক দুই মিনিট পরেই তিনি আবার এসে আমাকে ক্যাশ কাউন্টার থেকে ডেকে নিয়ে কার সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয় জিজ্ঞেস করেন। আমি বলি, ভাই আমি তো আপনার কাছে শুধু বাকি টাকা চেয়েছি, আর কিছু না। এ সময় তিনি আমার দাড়ি টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন এবং আমাকে চড়, কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন।”

ক্যান্টিন মালিক আরও বলেন, “এ সময় তার সঙ্গে থাকা অন্যরা তাকে আটকে রাখার চেষ্টা করলেও তিনি আমাকে আরও মারতে থাকেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। আমাকে কোনো কারণ ছাড়া মারা হয়েছে। এখন আমি অভিযোগপত্র রেডি করে প্রভোস্ট স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করব।”

অভিযোগের বিষয়ে আরাফাত হোসাইন অভি বলেন, “আমি দুপুরে খাবার খেতে গেলে ক্যান্টিন মালিক বকেয়া টাকা চায়। তখন আমি বিকাশে টাকা তুলতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানাই। পরে আমি সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তিনি ম্যানেজারকে বললেন আমাকে যেন নেক্সট টাইম খাবার না দেন। এটা শুনে আমি ক্যান্টিন মালিককে বললাম আপনি এটা কেমন কথা বললেন? একজনের সমস্যা তো থাকতেই পারে। এরপর হঠাৎ করে তিনি আমাকে ধাক্কা মারেন, আমিও তার কলার টেনে ধরি। তারপর ধাক্কাধাক্কির মধ্যে তার দাড়িতে আমার হাত লেগে ছিঁড়ে যায়। কিন্তু আমি তাকে মারিনি।”

এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, “আমি ঘটনা শুনেছি। আমরা এসব বিষয়ে কাউকে কোনো ছাড় দেব না। সে যত বড় নেতাই হোক সেটা দেখার বিষয় না। আমরা তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।”

এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।”

Link copied!