সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পর এবার বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবহারে কড়া নজরদারির আওতায় আনছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
রোববার (২৯ জুন) দেশের সব সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধানদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে মাউশি কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশনা দেয়। সোমবার (৩০ জুন) মাউশির নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ নির্দেশনার চিঠি প্রকাশ করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি এবং মাউশির ২০২০ সালের ২২ অক্টোবরের দুটি প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে একটি নির্ধারিত নির্দেশিকা রয়েছে , “সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা ২০১৯'। এ নির্দেশিকা অনুসরণ না করে ফেসবুক বা অন্য কোনো সামাজিক মাধ্যমে বক্তব্য দিলে তা সরকারি চাকরিবিধির লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে। একই সঙ্গে তা ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮’-এর আওতায় অসদাচরণ হিসেবেও বিবেচিত হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর জারি করা পূর্ববর্তী বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনাগুলোও এ ক্ষেত্রে কার্যকর থাকবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও দপ্তরপ্রধানদের এ নির্দেশ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের উপস্থিতি ও মন্তব্যের ওপর কড়া নজরদারি চালানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
 
                
              
 
																 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    



































