বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় একটি মাদ্রাসার নারী শিক্ষক প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি ধর্ষণের শিকার বলে অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেহেদী হাসান (২৬) এবং তার বন্ধু শামীম মাহমুদের (২৮) বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী। মেহেদী ঢাকার ধামরাই উপজেলার বহুতকুল গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে এবং শামীম গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জালাউতায়ের গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে। তারা দুইজনই উপজেলার মহিপুর ডেইরি ফার্মে কাজ করেন। ভুক্তভোগী উপজেলার মহিপুর খাদিজাতুল কুবরা (রা) বালিকা মাদ্রাসার শিক্ষক।
জানা যায়, ওই শিক্ষক ও তার বান্ধবী উপজেলার মহিপুর ডেইরি ফার্মে বেড়াতে যান। মেহেদী হাসান ওই শিক্ষককে দেখে পছন্দ ও কাছে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি বিব্রতবোধ করেন। মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন মেহেদী। এরই এক পর্যায়ে বেশ কয়েকদিন আগে প্রেমের প্রস্তাব দেন। পরে ওই নারী প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এতে মেহেদী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে ধর্ষণের অপবাদ দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। এ কাছে সহায়তা করেন তার সহকর্মী শামীম। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে মেহেদী ও শামীমকে আসামি করে আজ সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এবিষয়ে মেহেদী হাসান বলেন, “ওই নারী শিক্ষক আমাকে বলেছেন, তার বান্ধবীর স্বামী তাকে ধর্ষণ করেছেন। এ বিষয়ে আমার কাছে পরামর্শ চান। এ কথা বলায় আমি অনলাইন পোর্টালে নিউজ ও ফেসবুকে পোস্ট দেই।”
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”