চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোলার বোহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দেউলা ইউনিয়নে মজম বাজার এলাকায় পাল্টা-পাল্টি হামলা ভাঙচুর মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
এতে করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবুলের পা ভেঙ্গে গেছে। তিনি ছাড়াও উভয় পক্ষের অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতরদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহাজাদা তালুকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবুল একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা-পাল্টি হামলা অভিযোগ করেন।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে মজম বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহাজাদা তালুকার তার নির্বাচন অফিসে সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের নিরাপত্তাহীনতা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এতে শাহাজাদা তালুকার অভিযোগ করেন, তার সমর্থনকারীদের হুমকী দিয়ে আসছেন প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবুল ও তার সমর্থকরা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার সকালে বাবুল ও তার সমর্থনকারীরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ি গিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলার মুখে ভয়ে প্রার্থী শাহাজাদা তালুকাদারের স্ত্রী ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বোহানউদ্দিন বাজারের একটি ভাড়া বাড়িতে উঠেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের হামলা নৌকা প্রার্থীর কয়েকজন সমর্থক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতা রয়েছেন তিনি।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহাজাদা তালুকার আরও অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবুল ইতো পূর্বে বিএনপির নেতা ছিলেন। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের যোগ দিলেও বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবুল। তিনি উল্টো অভিযোগ করেন, সকালে তিনি মজম বাজার এলাকায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণসহ গণসংযোগ করেন। তখন ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহাজাদা তালুকারের বাড়িতে গণসংযোগ করতে যান। এসময় তার উপর হামলা চালানো হয়। এতে করে তার একটি পায় মারাত্মক ভাবে জখম হয়। এসময় তার সমর্থক কর্মীসহ ২০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবুলসহ ১৩ জনকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবুলে একটি পা ব্যান্ডিজ অবস্থায় তিনি ভর্তি রয়েছে। এছাড়াও আহতদের মধ্যে মোস্তফা, আবুল হোসেন, খলিল, মোসলেমম, নকিব, আবুল কালাম, মো. হোসেন, নুরুল ইসলাম ও আবুল হোসেনের নাম পাওয়া গেছে।
এঘটনার পর আসাদুজ্জামান বাবুলে নির্বাচনী ৪টি অফিস শাহাজাদা তালুকারের কর্মী ভাঙচুর করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তবে এই হামলা বিষয় নৌকার প্রার্থী শাহাজাদা তালুকার অস্বীকার করেন।
তবে এসব ঘটনায় এখনো কোন পক্ষই থানায় মামলা করেনি বলে জানান বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজাহারুল আমিন।