কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পুনরায় পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব কেটে যাওয়ায় মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় টেকনাফ থেকে চারটি পর্যটকবাহী জাহাজে ৭০০ পর্যটক সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, জাওয়াদের প্রভাব কেটে যাওয়ায় ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে দুপুরে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী চার জাহাজে করে ৭০০ পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণে গেছেন।
জাহাজগুলো ফেরার সময় দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের নিয়ে আসবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) জাওয়াদ আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছিল। এ কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এছাড়া দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরতে পারবেন।
বিআইডব্লিউটিএ ও জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানায়, জাওয়াদের প্রভাব কেটে যাওয়ায় দুপুর ১টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে চারটি জাহাজে ৭০০ এর বেশির পর্যটক সেন্টমার্টিনে রওয়ানা হন। দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা তিন দিন পর ফিরবেন।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় দুপুর থেকে আবার জাহাজগুলো চলাচল শুরু হয়েছে। জাহাজ ফেরার সময় দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরবেন।