দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে ফের সিলেটের মঞ্চে ফিরছে নাটক। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ১৫ দিনব্যাপী নাট্য প্রদর্শনী।
শুক্রবার নাট্য প্রদর্শনীর প্রথম সন্ধ্যায় কথাকলি, সিলেট পরিবেশন করবে নাটক ‘চে’র সাইকেল।’ মামুনুর রশীদের রচনায় নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন ফয়েজ জহির।
এছাড়া ২৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) মৃত্তিকায় মহাকাল মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘মহাকালের পালা’, ২৭ ফেব্রুয়ারি (রোববার) লিটল থিয়েটার, সিলেট মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘ভাইবে রাধারমণ’, ২৮ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) থিয়েটার মুরারিচাঁদ মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘পানিবালা’, ১ মার্চ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, সিলেট জেলা সংসদ মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘আবের পাঙ্খা লৈয়া’, ২ মার্চ (বুধবার) নাট্যালোক, সিলেট (সুরমা) মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘শাস্তি’, ৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থিয়েটার বাংলা, সিলেট মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘তক্ষক’, ৪ মার্চ (শুক্রবার) নবশিখা নাট্যদল, সিলেট মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘বীরাঙ্গনার বয়ান’, ৫ মার্চ (শনিবার) দর্পণ থিয়েটার, সিলেট মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘বিপ্লবের গান’, ৬ মার্চ (রোববার) থিয়েটার সিলেট মঞ্চায়ন করবে সৈয়দ শামসুল হকের নীলদংশন উপন্যাস অবলম্বনে নাটক ‘আমিই নজরুল’, ৭ মার্চ (সোমবার) নাট্যমঞ্চ সিলেট মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘রঙ্গমালা’, ৮ মার্চ (মঙ্গলবার) নাট্যায়ন, সিলেট মঞ্চায়ন করবে আন্তন চেখভের ‘দ্য বিয়ার’ অবলম্বনে নাটক ‘জবর আজব ভালোবাসা’, ৯ মার্চ (বুধবার) দিগন্ত থিয়েটার, সিলেট মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘পেজগী’ এবং নাট্য প্রদর্শনীর শেষ দিনে ১০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) লন্ডনের (যুক্তরাজ্য) নাট্য সংগঠন বিলাত বাংলাভিশন মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘নুর হুসেন এবং লকডাউন’।
প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট নগরীর কবি নজরুল অডিটরিয়ামে দর্শনীর বিনিময়ে দর্শকরা এসব নাটক উপভোগ করা যাবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কবি নজরুল অডিটরিয়ামের মঞ্চে উদ্বোধন হয় ১৫ দিনব্যাপী এ নাট্য প্রদর্শনীর। তবে এদিন কেবল উদ্বোধন কার্যক্রম ছিল, হয়নি কোনো নাটকের প্রদর্শনী।
উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশন করে ছন্দ নৃত্যালয়। এরপর নাট্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নাট্যজন তারিক আনাম খান।
এ সময় নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য গুনীজন সম্মাননা প্রদান করা হয় মানবেন্দ্র গোস্বামীকে। করোনা টিকাদান কার্যক্রমের জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ এবং কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের সময় ‘কলের গাড়ি’তে যেসব সংস্কৃতিককর্মী স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েছিলেন তাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে তারিক আনাম খান বাংলাদেশের আন্দোলন-সংগ্রামে সংস্কৃতিকর্মীদের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘স্বাধীনতা, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব আন্দোলনে সংস্কৃতিকর্মীরা নির্যাতিত হয়েছেন, তবু অধিকার আদায়ে লড়েছেন। একটি জাতির সংস্কৃতিই তাকে প্রমাণ করে। তাই রাজনীতি আর সংস্কৃতি একই মেলবন্ধনে চলা উচিত।”