রাঙামাটিতে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই উপজেলার ১০ ইউনিয়নে কেবল একটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ৯ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, “দুই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মোট ৯০টি কেন্দ্রে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোট চলাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।”
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরও জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য ছয় প্লাটুন বিজিবি, পর্যাপ্ত পুলিশ এবং আনসার মোতায়েনের পাশাপাশি র্যাব ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে ছিল। এছাড়া প্রতি ইউনিয়নে একজন করে মোট ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন রাঙামাটি সদরের জীবতলী ইউনিয়নে সুদত্ত কারবারি, মগবান ইউনিয়নে পুষ্প রঞ্জন চাকমা, সাপছড়ি ইউনিয়নে প্রবীণ চাকমা, বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নে অমর চাকমা, কুতুকছড়ি ইউনিয়নে কানন চাকমা,
নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে অমল কান্তি চাকমা, নানিয়ারচর সদর ইউনিয়নে বাপ্পি চাকমা, বুড়িঘাট ইউনিয়নে প্রমোদ খীস ও সাবেক্ষং ইউনিয়নে সুপন চাকমা। বালুখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অমর কুমার চাকমা।
রাঙামাটি জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর ও নানিয়ারচর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৯০টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৬৭ হাজার ৪৮ জন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৮, সাধারণ সদস্য পদে ২১১ এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে নৌকার প্রার্থী ছাড়া অন্য কোনো দল অংশগ্রহণ করেনি।