ঝড়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি মাছ ধরা ট্রলারডুবির ঘটনায় ১২ জেলে এখনো নিখোঁজ। নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে আজ (শনিবার) থেকে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। কোস্ট গার্ড, বন বিভাগ এবং জেলেরা এই অভিযানে অংশ নেয়।
এছাড়া জেলেরা সাগরের গভীরে অভিযান চালিয়ে ডুবন্ত অবস্থায় দুটি ট্রলার উদ্ধার করে। পরে ওই দুটি ট্রলারের মধ্যে থেকে দুই জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সুন্দরবন বিভাগ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। কোস্ট গার্ড সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর চর এলাকা থেকে জীবিত অবস্থায় ভাসতে থাকা তিন জেলেকে এবং ডুবন্ত অবস্থায় দুটি ট্রলার উদ্ধার করে।
যে দুই জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার কাালিগঞ্জ গ্রামের আনোয়ার শেখের ছেলে মামুন শেখ (৪০) এবং পিরোজপুর জেলার মটবাড়িয়া উপজেলার জানেরপাড় গ্রামের আজিজুল খানের ছেলে ইসমাইল খান (৩৬)।
এখনো নিখোঁজ ১২ জেলের মধ্যে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শাহিন (৪০) ও মফিজুল (৩০) এবং খুলনার কয়রা উপজেলার চাকলা গ্রামের মিজান (৩৪) এর নাম জানা গেছে।
এর আগে শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগর এবং সুন্দরবনের দুবলারচরসংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় দেড় শতাধিক জেলেকে নিয়ে ওই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। ট্রলারে থাকা প্রায় ১৫০ জেলে সাঁতরিয়ে এবং অন্য ট্রলারের সাহায্যে তীরে উঠতে পারলেও ১৪ জেলে নিখোঁজ হয়।
বঙ্গোপসাগরের গভীরে আটটি এবং দুবলারচরের বিভিন্ন এলাকায় দশটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ সময় ঝড়ের সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টিতে দুবলারচরে জেলেদের দুই কোটি টাকা মুল্যের শুঁটকি মাছ নষ্ট হয়েছে।
কোস্ট গার্ড দুবলা কন্টিনজেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ট্রলারডুবির পর কোস্ট গার্ড সদস্যরা অভিযান চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর চর এলাকা থেকে জীবিত অবস্থায় তিন জেলেকে উদ্ধার করে।
এ ছাড়া তারা ডুবে যাওয়া দুটি ট্রলার শনাক্ত করে। নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।