ফরিদপুরে স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন মামলায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামসুদ্দোহার জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া তার জামিন নামঞ্জুর করেন। জজ কোর্টের আইনজীবী শাহ মো. আবু জাফর বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ আইনজীবী বলেন, এর আগে নিম্ন আদালত ওই পুলিশ কর্মকর্তার জামিন নামঞ্জুর করলে তিনি আদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে জামিন আবেদন করেন। পরে দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার রাজাবাজার এলাকা থেকে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পরদিন ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে তাকে ফরিদপুরের ১নং আমলি আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তার হওয়া শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার নুরউদ্দিন আহমেদের ছেলে।
২০১৫ সালের ৭ আগস্ট ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার ফারুক আহমেদের মেয়ে ফারজানা আক্তার তুলির সঙ্গে বিয়ে হয় শামসুদ্দোহার। ৯ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন স্ত্রী তুলি। তুলির অভিযোগ, মাদক ও পর নারীতে আসক্ত তার স্বামী শামসুদ্দোহা। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। অসুস্থ বাবা-মায়ের চিকিৎসার কথা বলে তিনি ৪০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কয়েক দফায় ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়।