নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, নির্বাচন থেকে সরে যেতে নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে তিনি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বসে নির্বাচন করবেন। তবু ভোট থেকে সরবেন না।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) নগরীর চাষাঢ়া মিশনপাড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন তিনি।
তৈমূর আলম বলেন, “নির্বাচন কমিশন বোবা ও অন্ধ হয়ে গেছে। প্রতি রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ঘেরাও করছেন। প্রশ্ন করলে পুলিশ বলছে, তারা কিছুই জানে না।”
হাতি মার্কার প্রার্থী অভিযোগ করে আরও বলেন, “নানা অজুহাতে কর্মী-সমর্থকদের আটক করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে বারবার অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন বোবা ও অন্ধ হয়ে গেছে।”
নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রধান এই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আরও বলেন, “সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় আমার নির্বাচনী সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছিলেন মনিরুল ইসলাম রবি। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পোলিং এজেন্টদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করছিলেন রবি। পুলিশ তাকে সেই তালিকাসহ ধরে নিয়ে গেছে। এর আগেও দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।”
এর আগে সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তৈমূর আলমের নির্বাচনী সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মনিরুল ইসলাম রবি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক।