কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় এক জালে আটকা পড়েছে ১১৬টি লাল পোয়া মাছ। প্রতিটির ওজন ৮ থেকে ১৫ কেজি, যা বিক্রি হলো ১৪ লাখ টাকায়।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আকবর বলী পাড়া গ্রামের সাঁচি মিয়ার ছেলে মো. মিজান ও মোস্তাক আহমদের ছেলে ছৈয়দ নুরের জালে এই মাছ ধরা পড়ে।
কক্সবাজার ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদসহ কয়েকজন মাছগুলো ১৪ লাখ টাকায় কিনে নেন।
কুতুবদিয়ার জেলে মোস্তাক ও ছৈয়দ নূর জানান, সকালে কুতুবদিয়া চ্যানেলে তারা জাল বসান। দুপুরে জাল তুলতে গিয়ে দেখেন, জাল টেনে কূলে আনা যাচ্ছে না। পরে আরও লোকজনের সহায়তায় জাল তোলা হয়। দেখা যায় বড় আকৃতির অসংখ্য লাল পোয়া মাছ লাফালাফি করছে। গণনা করে ১১৬টি পোয়া মাছ পাওয়া গেছে। প্রতিটি মাছের ওজন ৮ থেকে ১৫ কেজি।
মোস্তাক আরও জানান, প্রথমে মাছগুলো ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত দর ওঠে। অনেক দরদামের পর কক্সবাজার ফিশারিঘাটের মোহাম্মদ সওদাগরসহ কয়েকজন ১৪ লাখ টাকা দিয়ে মাছগুলো কিনে নেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আমিন জানান, এই ধরনের পোয়া মাছ সহজে পাওয়া যায় না। এ মাছ সাগরের গভীরে থাকে। ভাগ্যক্রমে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে।
মো. আনোয়ারুল আমিন বলেন, “লাল পোয়া মাছের বায়ু থলিটা সাধারণত এক ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এই বায়ু থলি দিয়ে বিভিন্ন চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের জন্য নানা প্রকার সার্জিক্যাল মেডিসিন তৈরি করা হয়। তাই পোয়া মাছের দাম ও চাহিদা অনেক।”