• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

গ্রেপ্তারের পর ইউপিডিএফ সদস্যের মৃত্যু


খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২২, ০৯:২৭ পিএম
গ্রেপ্তারের পর ইউপিডিএফ সদস্যের মৃত্যু

নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তারের পর ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সদস্য হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়ার বাঁশটালা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার নাম মিলন চাকমা (৪৪)। ইউপিডিএফের প্রসীত গ্রুপের সংগঠক ছিলেন তিনি।

নিরাপত্তা বাহিনীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে দীঘিনালার বাবুছড়ার বাঁশটালা এলাকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর একটি টহল দল মিলন চাকমাকে আটক করে। এ সময় তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, তিনটি অবৈধ ওয়াকিটকি, আটটি মোবাইল সেট, ল্যাপটপ ও পোর্টেবল জেনারেটর উদ্ধার করা হয়।

নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করে মিলন চাকমা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, হত্যা-খুন, বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা চলমান রয়েছে। মিলনকে দীঘিনালা সদরে নিয়ে আসার পথে অসুস্থ বোধ করলে তাকে সরাসরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি ৯টার দিকে মারা যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।

ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে মিলন হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে অংগ্য মারমা অভিযোগ করে বলেন, “ইউপিডিএফ সংগঠক মিলন চাকমাকে আটক করে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। এতে তার শরীরের অবস্থা খারাপ হলে সেনারা তাকে নিয়ে এসে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

Link copied!