গাজীপুরে স্ত্রী-ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মফিজুল ইসলাম মফিজকে গ্রেপ্তার করেছে গাছা থানা-পুলিশ।
সোমবার (২২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াটোলা আমবাগ এলাকার আক্তারের রিকশা গ্যারেজ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (গাছা) আহসানুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও তথ্যের ভিত্তিতে মফিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ ফরিদ জানান, রোববার (২০ মার্চ) রাতে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর পালিয়ে ঢাকায় চলে যান রিকশাচালক মফিজ। ছদ্মবেশ ধারণ করতে নিজের দাড়ি কেটে ফেলেন তিনি। গ্রেপ্তারের পর মফিজকে গাজীপুরে নিয়ে আসা হয়।
সহকারী কমিশনার (গাছা) আহসানুল হক জানান, স্ত্রীর সঙ্গে মফিজের প্রায়ই ঝগড়া হতো। রোববার রাতে মফিজ একটি নতুন বটি কিনে আনেন। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে বাইরে থেকে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়াদের সিটকিনি আটকে দেন তিনি। পরে রহিমা ও রোকনকে ওই বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর পালিয়ে যান। পালানোর সময় তার আট বছর বয়সী ছেলে আল-আমিন ঘটনাটি দেখে আশপাশের মানুষকে জানায়।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে নিহত রহিমা বেগমের বড় ভাই রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে গাছা থানায় হত্যা মামলা করেন।