পটুয়াখালীর দুমকিতে কুত্তা (কুকুর) বলে গালি দেওয়ায় একই পরিবারের ছয়জনকে কামড়িয়ে জখম করেছে আরেক পরিবার। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাঁটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত যুবকের নাম কালাম সরদার।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম ঝাঁটরা গ্রামের বাসিন্দা কালাম সরদারের সঙ্গে আনোয়ার শিকদারের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার বিকালে কালাম রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী বাবুল হাওলাদারের ১০ বছর বয়সি ছেলে তাকে (কুত্তা) কুকুর বলে গালি দেয়। এতে কালাম ক্ষুব্ধ হন। পরে তার স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের লোকজন আনোয়ার ও সাত্তারের বসতঘরে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বাধা দিতে গিলে আনোয়ারের পরিবারের শিশুসহ ছয়জনকে কামড়িয়ে জখম করেন তারা।
আহতরা হলেন মাসুদা বেগম (৫০), সুমাইয়া আক্তার (২০), ৬ মাসের শিশু রাইয়ান, শাকিল (১৪), লাভলী (২৭) এবং তাসমিম (১২)। আহতদের সবাই বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আনোয়ার স্ত্রী লাভলী বেগমের অভিযোগ, “পাশের বাড়ির একটা ছেলে কালামকে গালি দিলে ক্ষিপ্ত হন। আর মনে মনে ধারণা করেন যে এটা আমরা ওই ছেলেকে শিখিয়ে দিয়েছি। তাই আমাদের বসতঘর ভাঙচুরসহ আমাদের ছয়জনকে কামড়িয়ে আহত করেছেন তিনি।”
কালামের ভাতিজি মানসুরা আক্তার কামড়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “আনোয়ারের পরিবারের সঙ্গে আমাদের পূর্ব বিরোধ চলছে। শুক্রবার দুপক্ষের মারামারি হয়েছে। তবে কামড়ের বিষয়টি বানোয়াট এবং কিছুদিন আগে আমার বাবা ও কাকাকে ওরা সন্ত্রাসী দিয়ে মেরেছে ও আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে।”
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. মিজান সরদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “সালাম ও কালামের পরিবার খুব খারাপ। এরা বিগত দিনেও মৌলভী আ. বারী, খালিদ হোসেন ও সোবহান সরদারকে কামড়িয়েছে।”
দুমকি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস সালাম বলেন, “এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”