নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার মনোহরদী গরু বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার এই ঘটনা ঘটে। এসময় ১০/১২টি মোটরসাইকেল ও একটি পিকআপভ্যান ভাঙচুর করে আগুন জালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আহতরা হলেন- বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন (৪০), যুবদল নেতা জুয়েল রানা (৪২), জুয়েল (৪৫), ছাত্রদল নেতা শাহিন ফরাজী (২২), সাব্বির (২৩), সাদ্দাম হোসেন (২৮), প্রণয় ফরাজী (২২) নূর উদ্দীন (৩৫), মাহফুজ মেম্বার (৩০), শেখ শাহজাহান (৫০), সাইফুল ইসলাম (৫৩)।
এদের মধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের মনোহরদী ও শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীনের এক কর্মীকে মারধর করেন সাবেক সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল গ্রুপের লোকজন।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন জয়নুল গ্রুপের সমর্থকরা। শান্তিপূর্ণ সভা চলাকালে বকুল গ্রুপের সমর্থক উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান সোহাগ, যুবদল নেতা শিপন, সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। তাদের অতর্কিত হামলায় ২৫জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল গণি ফরাজী বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ সভায় বকুল গ্রুপের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ১০/১২ টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় আমাদের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।”
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।