• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

সিন্দুক ভেঙে সাড়ে ৩০ লাখ টাকা লুট


রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩, ০৬:১৬ পিএম
সিন্দুক ভেঙে সাড়ে ৩০ লাখ টাকা লুট

রাজশাহীতে কোল্ডস্টোরেজের সিন্দুক ভেঙে সাড়ে ৩০ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৪ জুন) রাতে রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছীর ‘রাজ কোল্ড স্টোরেজে’ এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই কোল্ডস্টোরেজের তিন নৈশপ্রহরীকে রোববার (২৫ জুন) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার লিয়াকত আলী সরকার বলেন, “রাতে আমরা সব টাকা হিসাব করে রেখে গেছি। বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার এই তিনদিনের ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৭২ টাকা ছিল সেখানে।“

তিনি বলেন, “সকালে পরিচ্ছন্নকর্মী এসে অফিসের তালা ভাঙা ও সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় দেখে সবাইকে খবর দেন। আমি গিয়ে দেখি সিন্দুক তালাও ভাঙা। ভেতরেও কোনো টাকা নেই। পরে সিটি টিভির ফুটেজে দেখা যায় তিনজন ডাকাতকে সিন্দুকের তালা ভেঙে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। তিনজনের মধ্যে একজনের মুখ খোলা ও দুইজনের মুখ ঢাকা ছিল।

রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকার ওই কোল্ডস্টোরেজের মালিক।

তিনি জানান, সাধারণত কোল্ডস্টোরেজের একদিনের কালেকশনের টাকা পরদিন ব্যাংকে গিয়ে জমা দেওয়া হয়। দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ব্যাংক বন্ধ থাকায় গত বৃহস্পতিবার (২২ জুন), শুক্রবার (২৩ জুন) ও শনিবার (২৪ জুন) এ তিন দিনের কালেকশনের টাকা জমা দেওয়া হয়নি। কথা ছিল রোববার (২৫ জুন) সকালে ব্যাংক খুললে টাকাগুলো জমা দেওয়া হবে। তাই শনিবার রাতে কোল্ডস্টোরেজের অফিস বন্ধের আগে দুই তলার সিন্দুকে টাকাগুলো রাখা হয়েছিল। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এদিন গভীর রাতে তিনজন মুখোশপরা ব্যক্তি হাতে করে তালা ভাঙার যন্ত্র নিয়ে কোল্ডস্টোরেজে প্রবেশ করছেন। পরে তারা একে একে কয়েকটি গেটের তালা ভেঙে অফিসের সিন্দুকের কক্ষে ঢোকেন। প্রায় একঘণ্টা চেষ্টার পর সিন্দুকটি ভেঙে তারা ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৭২ টাকা লুট করে নিয়ে যান। সিসিটিভি ফুটেজে তার পুরোটাই ধরা পড়েছে।

মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, “রাতে কোল্ডস্টোরেজের নিরাপত্তার দায়িত্বে তিনজন নৈশ প্রহরী ছিলেন। এরপরও এত বড় ডাকাতির ঘটনা ঘটে গেছে। খবর পেয়ে রোববার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় আপাতত কোল্ডস্টোরেজের তিন নৈশপ্রহরীকে নিয়ে গেছে। তারা বেসরকারি একটি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মী। বর্তমানে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। এছাড়া মামলার প্রস্তুতি চলছে।”

পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক পারভেজ বলেন, কোল্ড স্টোরেজের সব ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। টাকা উদ্ধার ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

Link copied!