• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

বাঁচার মতো বাঁচতে চেয়ে রাস্তায় চোখবাঁধা শিক্ষার্থীর অবস্থান


নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪, ০৪:১০ পিএম
বাঁচার মতো বাঁচতে চেয়ে রাস্তায় চোখবাঁধা শিক্ষার্থীর অবস্থান

‘নিরাপদ সড়ক ও বাঁচার মতো বাঁচতে চেয়ে’ চোখে কালো কাপড় বেঁধে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া নামের এক শিক্ষার্থী।

রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী শহরের তাজের মোড় ও ব্রিজের মোড়ে অবস্থান করে সে। ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া নওগাঁ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

রাস্তায় অবস্থান করার সময় ওই শিক্ষার্থীর হাতে একটি পোস্টার দেখা যায়। তাতে লেখা ছিল,  ‘সড়কের নিরাপত্তা চাই, বাঁচার মতো বাঁচতে চাই, দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ চাই।’

ছোট্ট এই শিক্ষার্থীর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় পথচারীরা। জুলফিকার রহমান নামের এক পথচারী বলেন, “আমরা আসলে সড়কে কেউ নিরাপদ নই। বাসা থেকে বের হলে সুস্থভাবে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারব কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নাই। একজন ছোট শিশু শিক্ষার্থীর এমন উদ্যোগ সত্যিই আমাদের মুগ্ধ করেছে। সবার উচিত নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্বোচ্চার হওয়া।”

নিলুফার ইয়াসমিন, তানহা খাতুন নামের আরও দুই পথচারী বলেন, “তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা বাচ্চাটির এমন প্রতিবাদ ও দাবি খুবই যোক্তিক। আমরা তার দাবিকে সমর্থন করছি। তাকে দেখে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। প্রতিদিনই সড়কে তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে সবাই এক হয়ে আন্দোলন করতে হবে।”

এ বিষয়ে শিশু শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া বলে, “টিভি-পত্রিকাতে প্রতিদিন দেখি মৃত্যুর খবর। তার অধিকাংশই সড়ক দুর্ঘটনায়। রাস্তায় বের হলে বা স্কুলে যাওয়ার পথে আবার বাড়িতে মা-বাবার কাছে ফিরতে পারব কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নাই। প্রতিদিন এত মৃত্যুর খবর দেখে খুবই কষ্ট হয়, ভয়ও লাগে।”

ছোঁয়া আরও বলে, “বেশ কয়েকদিন আগে নওগাঁ শহরের ইয়াদ আলীর মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় এক বাবা-মা। আর বেঁচে যায় তাদের ৫ বছর বয়সী এক শিশু। এখন ভাবুন সেই শিশুটির কী হবে?”

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি এ এস এম রায়হান আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, “নিরাপদ সড়কের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। পাশাপাশি যানবাহন চালক ও মালিকদের সচেতনও করছি।”

রায়হান আলম আরও বলেন, “শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার এমন উদ্যোগ আমাদের মুগ্ধ করেছে। এমন দাবি ও সচেতনতাবোধ যদি সবার মাঝে জাগ্রত হতো তবে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব বলে মনে করি।”

Link copied!