• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

যন্ত্রের ব্যবহারে চলছে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
যন্ত্রের ব্যবহারে চলছে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ
সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। ছবি : প্রতিনিধি

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ‘সমলয়’ পদ্ধতিতে বোরো চাষ শুরু হয়েছে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নে। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে উপজেলা কৃষি অফিস।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সমলয় পদ্ধতিতে ৫০ একর বা ১৫০ বিঘা জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের কাথাইল গোপিনাথপুর গ্রামে একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদে উৎসাহ প্রদান করার লক্ষ্যে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।

এর আগে, কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হায়াত সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জুয়েল হোসেন, আহাম্মেদাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলী আকবর মন্ডল, জেলা কৃষি প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায়। আর অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন কালাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান।

এনামুল হক বলেন, কৃষিপ্রণোদনার আওতায় সমলয় চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা ও খরচ কমানোই মূল উদ্দেশ্য। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে একযোগে মাঠভিত্তিক সব কৃষকের ফসল উৎপাদন করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, মানুষ বাড়লেও বাড়ছে না কৃষিজমি। তাই স্বল্প জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন করে মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন উদ্যোগে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের কৃষকরা ট্রে ও পলিথিনে বীজতলা তৈরি করছিলেন। সেই বীজের চারা দিয়ে রোপণ করা হচ্ছে সমলয়ে চাষাবাদের ১৫০ বিঘা জমিতে।

কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, চারার উচ্চতা চার ইঞ্চি হলে বা চারার বয়স ২০-২৫ দিন হলে তা জমিতে রোপণ করার উপযোগী হয়। ট্রে-তে চারা উৎপাদনে জমির অপচয়ও কম। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। ফলে ফলনও বাড়বে। রোপণ করায় ধান একসঙ্গে পাকবে ও কৃষকরা তা ঘরেও তুলতে পারবেন।

ইউএনও মো. আবুল হায়াত বলেন, “কৃষকদের ভুল কীটনাশক স্প্রে করার কারণে অনেক কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এই কাজটি আমরা কখনোই করব না। প্রয়োজনের সরাসরি কৃষি কর্মকর্তাকে ফোন দেবেন। কৃষি কর্মকর্তা ওই সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে আপনার কাছে পাঠিয়ে দেবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সেবা দেওয়ার জন্যই আমাদের কর্মকর্তারা আছেন।” 

Link copied!