• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রধানমন্ত্রী আসছেন খুলনায়, উদ্বোধন ২৪ প্রকল্প


খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৮:১১ এএম
প্রধানমন্ত্রী আসছেন খুলনায়, উদ্বোধন ২৪ প্রকল্প
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনায় আসছেন। বিকেলে তিনি খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায় যোগ দেবেন। এর আগে ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।

খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুপুর পৌনে ১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করবে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার। এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন তিনি। বেলা পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউজ মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপর যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী ২ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২২৩ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম খুলনা সফর এটি। পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর এই মহাসমাবেশ ঘিরে খুলনা পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। তোরণ, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগরী। ইতোমধ্যে সার্কিট হাউজ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে বিশালাকৃতির মঞ্চ। রাতে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে।

এছাড়া সমাবেশস্থল ও আশপাশে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তার আগমন ঘিরে গোটা খুলনা মহানগরীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। জনসভাস্থলে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে। সার্কিট হাউজ মাঠ ও আশপাশে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গোটা নগরী নিরাপত্তার চাদরের ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জনসভাস্থলে আসা এবং জনসভা শেষে যাতে লোকজন নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে যানজট সৃষ্টি না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। নৌপথে নৌ-পুলিশ টহল দেবে। জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশ আনা হয়েছে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতারা খুবই সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। সার্কিট হাউসের মাঠের সভাস্থল ইতোমধ্যে কয়েকবার পরিদর্শন করা হয়েছে। রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা শেষবারের মতো সভাস্থলে নির্মিত মঞ্চসহ সার্বিক বিষয়টি পরিদর্শন করেন।

নেতৃবৃন্দরা সাংবাদিকদের জানান, সার্কিট হাউসের জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে চান তারা। এজন্য বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে জনসভায় ১০ লাখ মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করার টার্গেট রয়েছে তাদের। খুলনার ৯টি উপজেলার পাশাপাশি বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জসহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রেন ও ট্রলারে করে দলীয় কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ছুটে আসবেন। ইতোমধ্যে এসব স্থানে প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দূরের কর্মী-সমর্থকরা বাস থেকে শহর সংলগ্ন সুবিধাজনক স্থানে নামার পর মিছিল সহকারে সভাস্থলে যোগ দেবেন।

খুলনার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী নতুন নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। মাঠের ভেতরে বাইরে সরকারের উন্নয়ন প্রচারে সরব থাকবেন মনোনয়নপ্রত্যাশী এসব নেতাদের অনুসারীরা। জনসভায় আসা মানুষের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মাঠে খাবার পানি ও ভ্রাম্যমান টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

Link copied!