• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

এক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ৬ গ্রাম


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৩, ১১:০২ এএম
এক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ৬ গ্রাম

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মাত্র এক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে দুটি ইউনিয়নের অন্তত ৬টি গ্রামের শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও টগরবন্ধ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঝড়ে উপড়ে পড়েছে তিন শতাধিক গাছপালা। এ ছাড়া বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ রয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ক্ষতিগ্রস্তরা অনেকেই খোলা আকাশের নিচে ও আশপাশের বাড়ি-এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি হয়েছে। দুপুর সোয়া তিনটার দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ধেয়ে আসা এই ঘূর্ণিঝড় মাত্র এক মিনিটের কম সময় স্থায়ী ছিল। তাতেই উপজেলার সদর ইউনিয়ন বিদ্যাধর, ব্রাহ্মণ-জাটিগ্রাম, বেজিডাঙ্গা ও টগরবন্ধ ইউনিয়নের মালা, কৃষ্ণপুর-টগরবান, তিতুরকান্দি গ্রামের কাচা-পাকা বাড়িঘর, গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলি জমিও নষ্ট হয়েছে।

সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের ইউপি সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, “সকাল থেকেই বৃষ্টি ছিল। বিকেলের দিকে হঠাৎ করে এক মিনিটের মতো সময়ে ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ২০ থেকে ৩০টি ঘর ভেঙে যায়। এর আগের থেকেই বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে।”

এ ব্যাপারে টগরবন্ধ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বেগম বলেন, খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গিয়ে সাধ্যমতো সহযোগিতার চেষ্টা করা হয়। টগরবন্ধ ইউনিয়নে তিনটি গ্রামের ৬০ থেকে ৭০টি কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশত গাছপালা ভেঙে গেছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, “আলফাডাঙ্গার পুরো উপজেলা নয়, ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাওয়া দুটি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তিনটি খুঁটি ভেঙে পড়ে গেছে। আরও অনেকগুলো আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। আমাদের অফিসের লোকজন কাজ করছে। আশা করি আগামী কালের মধ্যে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।”

এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরেছি। হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড়টি আসে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করছে। শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।”

Link copied!