ফরিদপুরে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী তুরাগ হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি টিপু খাঁকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (৫ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে কোতোয়ালি থানার করিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টিপু খাঁ হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তার টিপু সদর উপজেলার ধুলদী গ্রামের হালিম খাঁর ছেলে।
উল্লেখ্য, ১১ অক্টোবর ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার অম্বিকাপুর এলাকায় শত্রুতার জের ধরে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আসাদুজ্জামান নূর ওরফে তুরাগকে (২২) বিরোধ মীমাংসার কথা বলে ওইদিন বিকেলে তার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তুরাগের পরিবারের লোকজন তাকে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এক পর্যায় তুরাগের বড় ভাই মো. আবুল কালাম আজাদ স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারেন, একই এলাকার মো. টিপু খাঁ-সহ (৩৫) ৯-১০ জন লোক মিলে একটি বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে উল্লাস করছে এবং নিকটবর্তী গোবিন্দপুর এলাকার একটি মেহগনি ও কলাবাগানে অজ্ঞাত একজন ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে।
পরে স্থানীয় লোকজন নিয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ওই এলাকার মেহগনি ও কলাবাগানে গিয়ে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত এবং বাম হাতের কনুইয়ের একটু ওপর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তুরাগের লাশ দেখতে পান স্বজনরা। বিচ্ছিন্ন হাতটি লাশের আশপাশের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে তুরাগের বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানায় মো. টিপুসহ সাত জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।