• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

আমাকে জোরপূর্বক হারানো হয়েছে : জামাল হোসেন


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম
আমাকে জোরপূর্বক হারানো হয়েছে : জামাল হোসেন
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাড. জামাল হোসেন মিয়া। ছবি : প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই ও প্রহসনের অভিযোগ তুলেছেন ফরিদপুর-২ আসনের (সালথা-নগরকান্দা) স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। একই সঙ্গে এই আসনের ফলাফল বাতিল ও পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।

ঈগল প্রতীকের এই স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাকে জোর করে হারানো হয়েছে। তার নির্বাচনী এলাকার মোট ১১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে সালথার গট্টি ইউনিয়ন, যদুনন্দী ইউনিয়ন ও নগরকান্দার রামনগর ইউনিয়ন, কাইচাইল ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকার সমর্থকরা জালভোট দেন।  

জামাল হোসেন অভিযোগে করেন, অধিকাংশ প্রিসাইডিং অফিসার আগেই ২০০-৩০০ ব্যালটে নৌকার সিল মেরে রেখে দিয়েছেন এবং ঈগলের ভোটের ওপর নৌকা লিখে বান্ডিল করেছেন। প্রকাশ্যে তারা নৌকায় সিল মেরেছেন, অনবরত জালভোট দিয়েছেন। তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

জামাল হোসেন মিয়া বলেন, “প্রায় ২০টি কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রহসনের নির্বাচন, কারচুপির নির্বাচন ও ব্যালট ছিনতাইয়ের নির্বাচন নগরকান্দা ও সালথাবাসী প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই ফলাফল আমরা মানি না। আমার ঈগলের অনেক ভোট নষ্ট দেখানো হয়েছে। আমি ভোটে জিতেছি। তবুও আমাকে জোরপূর্বক ১৯০০ ভোটে পরাজয় দেখানো হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের একদিন যেতে না যেতে নগরকান্দা সালথায় আমার সমর্থকদের প্রায় ২০০ বাড়ি-ঘর দোকান-পাট ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ এবং অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়া হয়েছে। আমার নেতাকর্মীর ওপরে নির্মম নির্যাতন ও হামলা চালানো হচ্ছে।”

জামাল হোসেন মিয়া নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “যেসব কেন্দ্রে অনিয়ম, ভোট চুরি, ব্যালট ছিনতাই, জালভোট প্রদান, প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারা, মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীদের ভোট গণনা করা হয়েছে সেই সব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে পুনঃনির্বাচন দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাই।”

সংবাদ সম্মেলনে সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী, নগরকান্দা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সালথার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওহিদুজ্জামান, যদুনন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, “এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই। ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে এবং তা গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। আর ফরিদপুরবাসী দেখেছেন নির্বাচন কেমন হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।”

Link copied!