• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

‘আমি তো বাচ্চা মেরে ফেলি নাই’


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
‘আমি তো বাচ্চা মেরে ফেলি নাই’

বরগুনার তালতলী উপজেলায় দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘাটে। চিকিৎসকের অবহেলায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করছেন স্বজনরা।

প্রসূতির পরিবার জানায়, উপজেলা শহরের হোটেল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম খলিল সোহাগের স্ত্রী লিপি আক্তার প্রসবব্যথা নিয়ে শনিবার দুপুরে দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন। পরে সন্ধ্যায় ওই ক্লিনিকের স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রুনা রহমান সিজারিয়ান অপারেশন করার সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলেন।

নবজাতকের বাবা ইব্রাহিম খলিল সোহাগ বলেন, “সিজারিয়ান অপারেশন ১ ঘণ্টা পরে কন্যা শিশুটির গায়ে কাপড় পেঁচিয়ে আমার কোলে দেন। পরে শিশুটি অনবরত কান্না করতে থাকে। এ সময় শিশুর শরীরে রক্ত দেখতে পাই। পরে গায়ের কাপড় খুলে ডানবাহুর নিচে ছুরির আঘাতে কেটে যাওয়ার ক্ষত দেখে বিষয়টি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক রুনা রহমান বলেন, “আপনি আমার সুবিধা দেখবেন, আমি আপনার সুবিধা দেখব। আমি তো বাচ্চা মেরে ফেলি নাই, মেরে ফেলেছি? বলেন? এইটুকু কাটলে কি মানুষ মারা যায়?”

বরগুনার তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, “এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। ভুক্তভোগী নবজাতকের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

এ ব্যাপারে বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. ফজলুল হক বলেন, “এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!