• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সুদের টাকা দিতে না পারায় কৃষককে শিকলবন্দী, যুবক গ্রেপ্তার


নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩, ০৩:০০ পিএম
সুদের টাকা দিতে না পারায় কৃষককে শিকলবন্দী, যুবক গ্রেপ্তার

নাটোরে সুদের টাকা দিতে না পারায় এক কৃষককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শিকলবন্দী করার ঘটনায় সুদ কারবারি আব্দুল আজিজকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের অভিযুক্তের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সুদের টাকা আদায়ের জন্য আসাদ আলী (৫৫) নামের ভুক্তভোগী ওই কৃষককে বাড়ি থেকে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ। এরপর তাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিকলবন্দী করে রাখেন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে ভোরে আব্দুল আজিজকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী শাহানার খাতুন বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় মামলা করলে আজিজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পুলিশ জানায়, ২০২০ সালে জমি লিজের শর্তে সুদের কারবারি আজিজের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা নেন কৃষক আসাদ। প্রথম দুই বছর সুদের টাকা ঠিকমতো পরিশোধ করলেও চলতি বছরের টাকা দিতে পারেননি তিনি। অনেকবার তাগাদা দিয়েও টাকা না পেয়ে শনিবার সকালে কৃষক আসাদের বাড়িতে গিয়ে তার হাত-পা বেঁধে তুলে নিয়ে আসেন আব্দুল আজিজ ও তার লোকজন। পরে আজিজের বাড়ির বারান্দার খুঁটির সঙ্গে কোমরে শিকল পরিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখেন।

কৃষক আসাদ আলী বলেন, “তিন বছর আগে আমি জমি লিজের ভিত্তিতে সুদে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। গত দুই বছরে ২০ হাজার টাকা সুদ এবং আসল ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। বাকি ৫০ হাজার টাকা এ বছর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই একটি দুর্ঘটনায় আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ি।”

তিনি বলেন, “সংসারে স্ত্রী ও দুই মেয়ে আছে। একটি ছেলে ছিল সে বাড়িতে থাকে না। আমার উপার্জনেই সংসার চলত। অভাবগ্রস্ত হয়ে যাওয়ায় আজিজের পাওনা টাকা দিতে বিলম্ব হচ্ছিল। তাই আজিজ ও তার বাবা আফজাল হোসেন সঙ্গে কয়েকজনকে নিয়ে আমার বাড়িতে আসে। সকাল ৮টার দিকে আমাকে জোর করে হাত-পা বেঁধে তারা তুলে নিয়ে যায়। এরপর আব্দুল আজিজের বাড়ির বারান্দায় কোমরে শিকল পরিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে। টাকা না দিতে পারলে আমাকে ছেড়ে দেবে না বলে জানায়। আমার এই মুহূর্তে টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই।”

নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!