• ঢাকা
  • বুধবার, ২২ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

নবনির্মিত বাস টার্মিনালে ত্রুটি, তদন্ত কমিটি গঠন


সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৩, ১১:১১ এএম
নবনির্মিত বাস টার্মিনালে ত্রুটি, তদন্ত কমিটি গঠন

সিলেটের নবনির্মিত কদমতলী বাস টার্মিনালে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে নগর ভবনের সভাকক্ষে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এ তথ্য জানান।

সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “দেশের সবচেয়ে আধুনিক সিলেট বাস টার্মিনালের একটি অংশে ত্রুটি ধরা পড়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তা পরিদর্শন করেছি। এ নিয়ে জনমনে কোনো বিভ্রান্তি যেন না ছড়ায় তার জন্য বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “তদন্ত কমিটি আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

সিসিক মেয়র বলেন, “এখনও সিসিকের কাছে এই প্রকল্পটি হস্তান্তর করেনি নির্মাণকারী সংস্থা। উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষমান বাস টার্মিনালটিতে সুযোগ-সুবিধাসমূহ ঠিক আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে সেবা প্রদান শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে স্থাপনাটির একটি অংশে কিছু ত্রুটি দেখা দেয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে এ প্রজেক্টটির কাজ চলছে। টেকনিক্যাল টিম যেদিন রিপোর্ট জমা দেবে সেদিন গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তা পেশ করা হবে।”

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়নে ১২২৮ কোটি টাকার বিল পাশ করেন। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ সরকার এবং বাকি ২০ শতাংশ সিলেট সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে। সিলেটের জনগণের স্বার্থে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের অধীনে আরও ৯টি প্রকল্পের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

সিলেটের খাবার পানির সংকট নিয়ে মেয়র বলেন, সিলেটে যে পানি উত্তোলন হয় তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সরকার যদি আরও একটি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি করে দেয় তাহলে পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির প্রসঙ্গ টেনে আরিফুল হক বলেন, “সিলেটের পানির লাইনগুলো ৩০-৪০ বছরের পুরনো। তাই বিভিন্ন জায়গায় ছিদ্র হয়ে পানি বের হয়ে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। ছিদ্রগুলো সংস্কার না করে নতুন পিভিসি পাইপ দিয়ে পানির লাইন টানা হচ্ছে। আগামী একমাসের মধ্যে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শেষ হবে।”

Link copied!