• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

মধুপুরে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আ.বিমা উৎসব উদ্‌যাপন


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৩, ১২:০৬ পিএম
মধুপুরে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আ.বিমা উৎসব উদ্‌যাপন

‘শেকড়ের টানে প্রজন্মের মেলবন্ধন’ এ স্লোগানে মুখরিত হয়ে নাচ, গান ও মহামিলনের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুরের পাহাড়ি জনপদে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায় উদযাপন করল আ.বিমা উৎসব।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দিনব্যাপী উপজেলার মমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। আ.বিমা কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি অজয় এ মৃ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আ.বিমা হলো একটি আচিক বা গারো শব্দ। এর অর্থ মাটির মা। গারোরা ভারতের মেঘালয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে জুম চাষ করতেন। তাদের পূর্বপুরুষেরা জুমের ফসল ফলনের দিক বিবেচনা করে মধুপুর অঞ্চলকে আ.বিমা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মাটির উর্বরতার কারণে তারা মধুপুরের মাটিকে আ.বিমা অর্থাৎ মাটির মা বলে থাকেন। মধুপুর পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী গারো জনগোষ্ঠীর ফসল কেটে ঘরে তোলার পর শস্য দেবতা ও ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের উদ্দেশে সম্মিলিতভাবে বিশেষ প্রার্থনা ও নাচগানের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর আ.বিমা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গারো জনগোষ্ঠীর আদি সংস্কৃতি ও সভ্যতা সবাইকে স্মরণীয় করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ আ.বিমা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গারো নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর তাদের আদি ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ও সেজেগুজে অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত করে তোলেন। আ.বিমা মেলা হয়ে ওঠে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রাণের মেলবন্ধন।

প্রলয় নকরেকের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য রেমন্ড আরেং, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক সেলিম, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ হারুন, মধুপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, আচিক মিচিক সোসাইটির সভাপতি সুলেখা ম্রং প্রমুখ।

Link copied!