রসিক নির্বাচন

শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা


রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০২:৩৬ পিএম
শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর। 

প্রচারণার শেষ দিনে রোববার সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ছুটছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। শেষ মুহূর্তের প্রচারে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। শেষ মুহূর্তে নাওয়া-খাওয়া ভুলে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। বিভিন্ন স্থানে তীব্র শীত উপেক্ষা করে পথসভা ও গণসংযোগে ব্যস্ত মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা।

ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তিলোত্তমা নগরী গড়াসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা। এদিকে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন শেষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নয়জন। এরমধ্যে ভোটের মাঠে লাঙ্গল প্রতীক ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী এবং সদ্য বিদায়ী মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূলের বেশিরভাগ নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা না থাকায় ভোটে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়ালও প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছেন। গত দুদিন ধরে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর পক্ষে নগরীতে বেশ কয়েকটি পথসভা করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি রেজাউল করিম।

এছাড়াও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আবু রায়হান, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাসদের শফিয়ার রহমান, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

সদ্য বিদায়ী মেয়র জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী তিনি। দল-মত নির্বিশেষে সবাই তার পক্ষে রায় দেবেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া জানান,  নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাই আর গালভরা বুলিতে ভুলবেন না ভোটাররা। রংপুরকে তিলোত্তমা নগরী গড়ে তুলতে যা যা প্রয়োজন নির্বাচিত হলে তার সবই করা হবে।

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট শেষ করতে প্রস্তুতির ঘাটতি রাখছে না। রিটার্নিং অফিবার আব্দুল বাতেন জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

২০১২ সালে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠনের পর তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন হবে ২৭ ডিসেম্বর। এবার মেয়র পদে ৯ জনসহ সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৭ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে লড়ছেন ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। এবার সব কেন্দ্রে ভোট হবে ইভিএমে। নির্বাচনী এলাকায় ২৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি।

Link copied!