কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫৭৫ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন ছোবহান মিয়া (৪৪) নামে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার (ডিএসও)। এই ঘটনায় পুঁজি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে বিকাশের ছয়জন এজেন্টের।
কুড়িগ্রাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও বৃস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এরআগে বিকাশের এজেন্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে গত ২২ ডিসেম্বর ক্লোজিং করার কথা বলে সব টাকা নিয়ে পালিয়ে যান ছোবহান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হলোখানা মাস্টারেরহাটে অবস্থিত মেসার্স আরিফুল ট্রের্ডাসের প্রোপাইটার রাশেদুল ইসলামের কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, আরডিআরএস বাজারে অবস্থিত জুবাইর ট্রেডার্সের প্রোপাইটার জুবাইর রহমানের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা, বটতলী বাজারে অবস্থিত খন্দকার ট্রেডার্সের প্রোপাইটার রুহুল আমিন খন্দকারের কাছ থেকে ৪ লাখ ২৯ হাজার ৫৭৫ টাকা, কাঁঠালবাড়ি বাজারে অবস্থিত আনিছ টেলিকমের প্রোপাইটার আনিছুর রহমানের কাছ থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, মেসার্স আজ ট্রেডার্সের প্রোপাইটার এবিএম জাকির হোসেনের কাছ থেকে ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং ভাই ভাই ট্রেডার্সের প্রোপাইটার হান্নান মিয়ার কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যান ডিএসও।
ক্ষতিগ্রস্ত বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা বলেন, “বিকাশের ডিএসও ছোবহান মিয়া একই রুটে দীর্ঘদিন থাকায় আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেল। আমরা এর বিচার চাই।”
ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, “ডিএসও ছোবহান মিয়া ডিলার মাসুদ রানার ভায়রাভাই ও সুপারভাইজার রানার বোনজামাই (দুলাভাই) হওয়ার কারণে বিকাশ কর্তৃপক্ষ আমাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে দেখছে না”
এজেন্টদের বিশ্বাস বিকাশ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে তাদের টাকা ফেরত পেতে সহজ হবে।
এ ব্যাপারে সদরে দায়িত্বে থাকা বিকাশের টেরিটরি ম্যানেজার রাসেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে বলেন, “ডিএসও পলাতক। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি।”
সুপারভাইজার রানা বলেন, “ডিএসও ছোবহান আমাদের অফিসেরও প্রায় তিন লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। অফিসের পক্ষে ম্যানেজার বাদী হয়ে থানা জিডি করেছেন। আইনি প্রক্রিয়ায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “আত্মীয়র পরিচয় দিয়ে কেউ পার পাবে না। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না, আইন সবার জন্য সমান।”
এ ব্যাপারে সদরে দায়িত্বে থাকা বিকাশের ম্যানেজার আরাফাতের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, “বিকাশ এজেন্টদের প্রায় ১৬ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে থানায় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”