কুড়িগ্রামের চিলমারীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য প্রার্থী সুফিয়া খাতুনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা শহরের চিলমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
সুফিয়া খাতুন আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, রৌমারী ও চিলমারী উপজেলার সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৩ থেকে সদস্য পদে মাইক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার বাড়ি রৌমারী উপজেলার রৌমারী বাজারের কাছে। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রার্থী চিলমারী থানায় মামলা করলে পুলিশ আবুল কালাম নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হামলার ঘটনায় সুফিয়া খাতুনের স্বামী সাখাওয়াত হোসেন লিপন প্রতিপক্ষ ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আরমিন নাহারের স্বামীকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “আরমিনের স্বামী শুভ আমাকে মোবাইলে হুমকি দিয়েছেন। আজ চিলমারীতে প্রচারণার কাজে যাওয়ার পর তিনি আমাকে চিলমারী থেকে চলে যেতে বলেন। এরপরই আমার স্ত্রীসহ আমাদের ওপর হামলা করা হয়।”
কারা হামলা করেছে জানতে চাইলে লিপন বলেন, “ওরা সবাই চিলমারীর ছেলেপেলে। আমরা তাদের চিনি না। আমাদের মারধর করে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। হামলায় শামসুল আলম নামে আমাদের একজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা মামলা করেছি। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।”
প্রতিপক্ষকে ফোনে হুমকি ও হামলার দায় অস্বীকার করেছেন আরমিন নাহারের স্বামী শুভ। তিনি বলেন, “আমার কাছে লিপনের মোবাইল নম্বর নেই। সুতরাং তাকে ফোনে হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তার ওপর হামলার ঘটনা আমি অবগত নই। তিনি কেন আমাকে দায়ী করছেন সেটা আমি জানি না।”
চিলমারী মডেল থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, “হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রার্থী সুফিয়া খাতুনের বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল কালাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। ১৭ অক্টোবর শুধু সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।