সন্তানকে হত্যার পর ঘরে পুঁতে রেখে পাশেই বসেছিলেন বাবা


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৫, ০২:৩৯ পিএম
সন্তানকে হত্যার পর ঘরে পুঁতে রেখে পাশেই বসেছিলেন বাবা

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আইয়ুব আলী (২) নামের এক শিশুকে হত্যার পর মরদেহ ঘরে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। 

বুধবার (১৭ জুন) রাতে উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের পশ্চিম ধুরাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

অভিযুক্ত বাবার নাম নুরুল আমিন (৩০)। তিনি ওই গ্রামের ফজুল মিয়ার ছেলে। তবে পরিবারের দাবি, তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী। 


নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন নুরুল আমিন। বুধবার দুপুরে ছেলে আইয়ুবকে নিজের কাছে নেন তিনি। পরে ধারালো দা দেখিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের ভয় দেখিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন নুরুল আমিন। সন্ধ্যার দিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যরা ফেরেন। 

এ সময় কৌশলে ঘরে ঢুকে ছেলে কোথায় তা জানতে চান স্বজনরা। কিন্তু নুরুল আমিন জানেন না বলে জানান। পরে ঘরের পাশে মাটির স্তূপ দেখে সন্দেহ হলে তাকে আটকে রাখা হয়। তখন তিনি স্বীকার করেন, মাথায় আঘাত করায় ছেলে আইয়ুবের মৃত্যু হয়েছে। পরে নিজ ঘরে মাটি খুঁড়ে পুতে রাখেন ছেলের মরদেহ। এমনকি এসময় দুটি ছাগলও হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখেন নুরুল আমিন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত শাবল ও কোদাল উদ্ধার ও অভিযুক্ত বাবা নুরুল আমিনকে আটক করে। একই সঙ্গে মরদেহ উদ্ধার থানায় নিয়ে আনা হয়।

নিহত শিশুর দাদা ফজুল মিয়া বলেন, “আমার ছেলে পাগল। আমরা বাড়িতে ছিলাম না। বিকেলে এসে শুনি, ছেলে তার বউকে মারধর করে নাতিকে নিজের কাছে নিয়ে রেখে দেয়। সন্ধ্যায় ঘরে গিয়ে দেখি, হত্যা করে গর্তের ভেতরে রেখে দিয়েছে।”

হালুয়াঘাট সার্কেলের এএসপি সাগর সরকার বলেন, “খবর পেয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তার বাবাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

Link copied!