• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের ৫২তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৩, ০৪:৫১ পিএম
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের ৫২তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত

দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অবদান চিরকাল স্মরণ করব এবং তাঁদের স্বপ্নের দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করব’ এ প্রত্যয়কে ধারণ করে ফরিদপুরে পালিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের ৫২তম শাহাদাত বার্ষিকী।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) জেলার মধুখালীতে মুন্সী আব্দুর রউফের শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা হয়।

পিতা মুন্সী মেহেদী হাসান ও মাতা মকিদুননেছার একমাত্র পুত্র সন্তান মুন্সী আব্দুর রউফ ১৯৪৩ সালের ১লা মে বর্তমান ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের রউফনগর (সালামাতপুর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১১ বছর বয়সে তার পিতৃবিয়োগ ঘটে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি তার উইংয়ে কর্মরত অবস্থায় ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং তিনি মেশিন গানার হিসেবে ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের অধীনে রাঙ্গামাটির মহালছড়ি নৌপথ অঞ্চলে বুড়িঘাট নামক স্থানে চিংড়িখালের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন।

৭১-এর ২০ এপ্রিল পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে মুন্সী আব্দুর রউফের মেশিনগানের গুলিতে পাকবাহিনীর দুটি লঞ্চ, একটি স্পিডবোড ডুবে পাকবাহিনীর দুই প্লাটুন সৈন্যের সলিল সমাধি ঘটে। এ সময় হঠাৎ প্রতিপক্ষের নিক্ষিপ্ত মটার সেলের আঘাতে তিনি শহীদ হন। আব্দুর রউফ শহীদ হওয়ার দীর্ঘ ২৫ বছর পর ১৯৯৬ সালে বুড়িঘাট নিবাসী জ্যোতিষ চন্দ্র চাকমা ও দয়াল কৃঞ্চ চাকমার সহায়তায় তার কবর শনাক্ত করতে সক্ষম হন। ১৯৯৭ সালে সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। এছাড়া সরকারের উদ্যোগে বীরশ্রেষ্ঠের নামে মধুখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

Link copied!