• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

জয়পুরহাটে হত্যা মামলার ৪ আসামি গ্রেপ্তার


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৩, ১১:৪২ এএম
জয়পুরহাটে হত্যা মামলার ৪ আসামি গ্রেপ্তার
জয়পুরহাটে হত্যা মামলার ৪ যুবক গ্রেপ্তার

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার শিকটায় সৈয়দ আলী নামের এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ সুপার জানান, আসামিরা ঘরে থাকা দুই লাখ টাকা নিয়ে যান। যার মধ্যে ৬২ হাজার ৫শ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা আসামিরা খরচ করেছে।

এছাড়া একটি পুকুর থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু ও ঘর থেকে নিয়ে যাওয়া দলিলপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন উপজেলার পুনট ইউনিয়নের শিকটা গ্রামের আকামুদ্দিনের ছেলে হারুনুর রশিদ (৪০), একই গ্রামের আবু তালেব ফকিরের ছেলে সুজন মিয়া (২৩), মোবারক আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫), মোহাম্মদ আলীর ছেলে নাজির হোসেন (৩৫)। এদের মধ্যে হারুনুর রশিদ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ১ ডিসেম্বর সকালে শিকটা গ্রামের সৈয়দ আলীর নিজ শয়ন কক্ষের মধ্যে গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে বলে খবর পাওয়া যায়।

ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পরে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে জানা যায় ৩০ নভেম্বর গভীর রাতে অজ্ঞাত আসামিরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে কালাই থানায় মামলা হয়।

পুলিশ এবং ডিবি টিমসহ মামলার তদন্ত কার্যক্রম এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা শুরু করেন।

গোপন সূত্র ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়, সৈয়দ আলী হত্যার ঘটনার সঙ্গে শিকটা গ্রামের হারুনুর রশিদ জড়িত আছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুজন মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, নাজির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা পুনট বাজারে নাজির হোসেনের দোকানে সৈয়দ আলী আকন্দের কাছে থাকা টাকা চুরি করার পরিকল্পনা নেয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ধারালো ছুরিসহ ওই বাড়িতে যায়। ভেতর থেকে গেট লাগানো থাকায় হারুন গেটের পাশে কাঁঠাল গাছ বেয়ে বাড়ির ভেতরে যান। তিনি গেট খুলে দিলে সুজন, ওয়াজেদুল ওই বাড়িতে ঢুকে।

তারা দেখতে পান ঘরের মেইন গেট ও ঘরের দরজা খোলা এবং লাইট জ্বালানো। তখন লাইটের সুইচ বন্ধ করার সৈয়দ আলীর ঘুম ভেঙে যায়। ঘরের মধ্যে ‘কে’ বলে চিৎকার করার চেষ্টা করলে আসামিরা গামছা দিয়ে সৈয়দ আলীর মুখ বেঁধে ফেলে। পরে দুই পা চেপে ধরে। ঘরের স্ট্রিলের বাক্সের তালা ভেঙে দুই লাখ টাকা এবং দলিলসহ একটি ব্যাগ নিয়ে নেয়।

ওই সময় সৈয়দ আলী চিৎকার করার চেষ্টা করলে সুজন মিয়া ছুরি দিয়ে সৈয়দ আলীর গলার কণ্ঠনালির নিচে আঘাত করে। কণ্ঠনালি কেটে গিয়ে সৈয়দ আলী নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তখন টাকা ও দলিলের ব্যাগসহ দ্রুত পালিয়ে যায়।

Link copied!