• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কক্সবাজারে শুঁটকি উৎপাদনে প্রস্তুতি নিচ্ছে ৩৫টি মহাল


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৩:৪১ পিএম
কক্সবাজারে শুঁটকি উৎপাদনে প্রস্তুতি নিচ্ছে ৩৫টি মহাল
ছবি: সংবাদ প্রকাশ

দেশের বৃহত্তম শুঁটকি পল্লি কক্সবাজারের নাজিরারটেকসহ জেলার সমুদ্রতীরবর্তী বালুচরের ৩৫টি মহালে এখন পুরোদমে শুঁটকি উৎপাদনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

জেলার মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৫০ হাজার মেট্রেক টন শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যে জেলার ৩৫টি শুঁটকিমহাল প্রস্তুত করা হচ্ছে। গত মৌসুমে ৪০ হাজার টনের অধিক শুঁটকি উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও চাহিদা বেশি থাকায় ভারত এবং মিয়ানমার থেকে শুঁটকি আমদানি করতে হয়েছে।

সম্প্রতি শুঁটকিপল্লিগুলোতে অর্গানিক শুঁটকি তৈরির কারখানা গড়ে ওঠায় বিষমুক্ত শুঁটকির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

সাগর থেকে ধরে আনা প্রায় ২৫ প্রজাতির মাছ সূর্যের তাপে শুকিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এসব শুঁটকি। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে শুঁটকি উৎপাদন কিছুটা বিঘ্নিত হলেও এখন অনুকূল আবহাওয়া প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হচ্ছে।

শুঁটকির মৌসুম পুরোপুরি শুরু হলে দৈনিক উৎপাদন ৫০০ শত টন ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তারা।

এখন অর্গানিক শুঁটকি তৈরি করায় প্রতিনিয়ত এই বিষমুক্ত শুঁটকির চাহিদা বাড়ছে স্থানীয়দের কাছে। শুঁটকিতে বিষ মেশানোর কারণে যারা শুঁটকি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন, তারাও এখন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর শুঁটকির স্বাদ নিতে পারবেন।

শহরের নাজিরারটেকের সমুদ্রতীরবর্তী বালুচরের প্রায় ১০০ একর জমিতে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম এ শুঁটকিপল্লি। এখানে নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক, যাদের অধিকাংশই নারী।

প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে নাজিরারটেকসহ জেলার উপকূলীয় এলাকায় শুঁটকি উৎপাদন করা হয়। তবে বৃষ্টি না থাকলে বছরের অন্যান্য সময়েও কিছু শুঁটকি উৎপাদন হয়। সাগরের বালিয়াড়িতে বিশেষ উপায়ে তৈরি বাঁশের মাচার ওপর কাঁচা মাছ সূর্যের তাপে ৩ থেকে ৪ দিন শুকিয়ে তৈরি করা হয় এসব শুঁটকি। এরপর উৎপাদিত শুঁটকিগুলো পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি মৌসুমে নাজিরারটেক শুঁটকিমহালে মাছের গুঁড়াসহ ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় আড়াই শ কোটি টাকা। উৎপাদিত এসব শুঁটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। তবে পর্যটক আগমন যত বেশি শুঁটকির চাহিদা ততই বাড়তে থাকে। সে ক্ষেত্রে ভারত ও মিয়ানমার থেকে আনা হয় নানা প্রকার শুটঁকি।

জেলার মৎস্য কর্মকতা মো. বদরুজ্জামান জানান, এখানে উৎপাদিত শুঁটকি শুধু কক্সবাজারে নয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, নাটোরসহ সারা দেশের মানুষের চাহিদা মেটাচ্ছে। এমনকি এখানে উৎপাদিত শুঁটকির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিদেশেও রপ্তানি হয়।  

Link copied!