• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জালিয়াতি চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জালিয়াতি চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
জালিয়াতি চক্রের ৩ সদস্য। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জয়পুরহাট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস এবং প্রবেশপত্র উদ্ধার করা হয়।  

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) মধ্য রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিঘাটা এলাকার আনিছ উদ্দিনের ছেলে রুস্তম আলী (৫৩)। তিনি উচাই কলেজের প্রিন্সিপাল। আর ২ জন জালিয়াতি চক্রের মূল হোতা বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল এলাকার আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে ইশান ইমতিয়াজ হৃদয় (৩০) ও কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার হরিনগাছী এলাকার আরজ আলীর ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন (২৯)।

পুলিশ সুপার নূরে আলম বলেন, “দেশের তিনটি বিভাগে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে গোপন সংবাদে জানা যায়, জয়পুরহাট জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে একটি জালিয়াতি চক্র জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানা এলাকায় জালিয়াতি করার উদ্দেশে অবস্থান করছে। তারা ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে চাকুরির নিয়োগ দেওয়া হবে মর্মে প্রতারণা করছে।”

পুলিশ সুপার বলেন, “এ শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জালিয়াতি প্রতারক চক্রের সঙ্গে আরও ৩/৪ জন জড়িত আছে মর্মে জানা যায়। তারা দেশের বিভিন্ন নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষে প্রতারণার কাজে জড়িয়ে পড়ে। গ্রেপ্তারদের কাছে রাখা নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র, চেকবহি, এটিএম কার্ড, বিভিন্ন প্রকারের ডিভাইস, ৬টি মোবাইল ফোন, মোবাইল সিম, এন্টিনা, এয়ার পট, ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল জব্দ করা হয়েছে।”

পুলিশ সুপার নূরে আলম আরও বলেন, “এই প্রতারক চক্রটি রাজশাহী বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”

Link copied!