• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আত্মসমর্পণ করলেন ২৪ হরিণশিকারি


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
আত্মসমর্পণ করলেন ২৪ হরিণশিকারি
সুন্দরবনের হরিণ না শিকার করার অঙ্গীকার করে আত্মসমর্পণ করেছেন শিকারিরা। ছবি : সংগৃহীত

সুন্দরবনের হরিণ না শিকার করার অঙ্গীকার করে আত্মসমর্পণ করেছেন ২৪ জন শিকারি। এ সময় হরিণ শিকারে ব্যবহৃত বেশ কিছু ফাঁদ জমা দেন তারা।

সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কার্যালয়ে বন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শিকারিরা নিজেদের অপরাধ শিকার করে আর হরিণ না শিকার করার শপথ নেন এবং লিখিত মুচলেকা দেন। একই সঙ্গে তারা সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ না ধরারও অঙ্গীকার করেন।  

আত্মসমর্পণকারী হরিণশিকারিরা হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের ছেলে আনারুল ইসলাম, গফুর খাঁর ছেলে ওমর ফারুক, মুজিদ গাজীর ছেলে আলাউদ্দিন, ছাত্তার খানের ছেলে খাইরুল আলম, আব্দুল খালেক গাজীর ছেলে আব্দুস ছামাদ, জিন্নাত গাজীর ছেলে উমর ফারুক, আনারুল, মৃত আক্কাছ গাজীর ছেলে আলামিন, কাওছার গাজীর ছেলে ইয়াছিন, গফফার মালীর ছেলে সোহেল, বাহিম মালীর ছেলে মোফাজ্জেল, নূরালি গাইনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, জয়নাল মোল্লার ছেলে বাবলু রহমান, কাদের গাজীর ছেলে ইমান আলী, ইউসুফ গাজীর ছেলে ইউনুস আলী, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সেন্ট্রাল কালিনগর এলাকার মৃত আক্কাস উদ্দিন গাজীর ছেলে শফিকুল ইসলাম, সুরত আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান, ইউসুফ, ছাকাত আলীর ছেলে মিজানুর রহমান, আব্দুল আলিম, হরিনগর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে ইসমাইল শেখ, মো. আলী গাজীর ছেলে ইসমাইল হোসেন খোকন, শাহ আলম সানার ছেলে আল-আমিন ও আ. গনি সানার ছেলে শাহ আলম।

আত্মসমর্পণের সময় সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী, সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ও বনকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, “আত্মসমর্পণকারীরা দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার, কীটনাশক দিয়ে মাছ আহরণসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে কোনো প্রমাণ ছিল না। বন কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই অপরাধের শাস্তি, হরিণ শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ শিকারের সুদূর প্রসারী কুফল বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে তারা অনুতপ্ত হয়ে বন কর্মকর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।”

আত্মসমর্পণকারী শিকারি আনারুল ইসলাম বলেন, “আমরা আর হরিণ শিকার করব না। সরকারের কাছে দাবি আমাদের কাজের ব্যবস্থা করা হোক।”
 

Link copied!