কুমিল্লার সীমান্তবর্তী একটি পুকুরপাড়ে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পুকুরটির অর্ধেক অংশ পড়েছে ভারতে আর অর্ধেক বাংলাদেশে। উভয় দেশের বাসিন্দারা এ পুকুরে গোসলসহ প্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহ করতেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে পুকুরপাড়ে গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পিলার নির্মাণ করছে। এ নিয়ে উভয় দেশের সীমান্তের বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাশের সদর দক্ষিণ উপজেলার রামধনপুর সীমান্ত এলাকায় তিন দিন ধরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ চলছে।
জানা গেছে, পুকুরটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহী জেলার সোনামুড়া থানার সূর্যনগর এবং কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের মধ্যবর্তী সীমান্তে অবস্থিত। সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্ত পিলারের দেড়শ গজের ভেতরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে বিজিবির দাবি, নিজেদের অংশে বেড়া নির্মাণ করছে ভারত। নকশার বাইরে বেড়া দিলে বাধা দেওয়া হবে।
সরেজমিন কুমিল্লা সীমান্তে দেখা গেছে, পুকুরটির কাছেই বিজিবির সশস্ত্র চার সদস্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। বিএসএফের উপস্থিতিতে চলছে পিলার বসানোর কাজ। এ ছাড়া বিজিবির সদস্যদের টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে প্রবেশের সব রাস্তায় এখন কড়া পাহারা। ভারতীয় অংশে টহল বাড়িয়েছে বিএসএফ।
স্থানীয়রা বলেন, সীমান্তের ২০৮৫ নম্বর পিলারের কাছে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভয় দেখায় বিএসএফ। জিরো পয়েন্টের দিকে গেলেই অস্ত্র তাক করে বিএসএফ সীমান্ত ছাড়ার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ১০ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে কুমিল্লা সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কিছু অংশে ১৫০ গজের মধ্যে বেড়া নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন সেই কাজ চলছে। তবে নকশার বাইরে কাজ করছে কি না, আমরা সর্বদা মনিটরিং করছি। নকশা অনুসারে কাজের কোনো হেরফের হলে সঙ্গে সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা আমাদের এক ইঞ্চি মাটিও তাদের দখলে যেতে দেব না।”
 
                
              
 
																                  

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





































