• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রিমনের গুলিতেই বাবার কোলে মারা যায় জান্নাত


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২২, ০২:৪৫ পিএম
রিমনের গুলিতেই বাবার কোলে মারা যায় জান্নাত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসী রিমনের ছোড়া গুলিতেই বাবার কোলে মারা যায় শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া (৩)। এ ঘটনায় তার বাবাও মাথা ও চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

র‌্যাবের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এমন স্বীকারোক্তি দেন তাসপিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রিমন (২৫)। বুধবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাবের সহকারী পরিচালক লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পক্ষে পরিচালক।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ এপ্রিল বিকালে মাওলানা মো.আবু জাহের তার তিন বছরের শিশুকন্যা তাসফিয়াকে চকলেট ও চিপস্ কিনে দেওয়ার জন্য বেগমগঞ্জ থানাধীন হাজীপুর গ্রামে একটি দোকানে যায়। এ সময় কুখ্যাত সন্ত্রাসী রিমন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ওই স্থানে উপস্থিত হয়। পূর্বের জের ধরে রিমনসহ গ্রেপ্তার সন্ত্রাসীরা আবু জাহেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইট ছুড়ে মারলে তার ৩ বছরের শিশুকন্যা তাসফিয়া আক্তার জান্নাত নৃশংসভাবে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভিকটিম এ সময় তার শিশুকন্যাকে না মারার জন্য মিনতি করতে থাকেন এবং শিশুকন্যা গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে কোলে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হন। এ সময় সন্ত্রাসী রিমন তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বাবা ও মেয়েকে গুলি করে। রিমনের ছোড়া গুলিতে বাবা ও মেয়ে দুজনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। গুলির আঘাতে জান্নাতুল ফেরদৌস তাসফিয়া মাথা, পিঠ ও ঘাড়ে গুরুতর জখম হয়। এছাড়া জাহের মাথায় ও চোখে গুরুতর জখম হন। চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে কুমিল্লায় তাসফিয়া মারা যায়। তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যায়।

Link copied!