• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৪ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ফেনী মুক্ত দিবস সোমবার


ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২১, ০৭:৪২ পিএম
ফেনী মুক্ত দিবস সোমবার

ফেনী মুক্তদিবস ৬ ডিসেম্বর (সোমবার)। স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরো সময়জুড়ে ফেনী জেলা ছিল পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষত-বিক্ষত। ১৯৭১ সালের ঠিক এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সর্বাত্মক আক্রমণ চালিয়ে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনীর মাটিতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছিলেন।

ফেনী অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রমের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের বিলোনীয়া ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল থেকে ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের হয়ে অভিযান চালান। মুক্তিবাহিনী বিলোনিয়া, পরশুরাম, মুন্সিরহাট, ফুলগাজী হয়ে জীবনবাজী রেখে যুদ্ধ করতে করতে এগুতে থাকেন। এসময় পাক হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পিছু হটতে থাকে। একপর্যায় পাক হানাদারদের একটি অংশ নোয়াখালীর হয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের রাস্তায় এবং অপর অংশ শুভপুর ব্রিজের উপর দিয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। পাক হানাদাররা ৫ ডিসেম্বর রাতে কুমিল্লার দিকে পালিয়ে গেলে ৬ ডিসেম্বর ভোরে ফেনী হানাদারমুক্ত ঘোষণা করা হয়। তখন সর্বস্তরের মানুষ লাল-সবুজের বিজয় নিশান নিয়ে ফেনী শহর ও গ্রামগঞ্জে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। এরমধ্য দিয়ে ফেনীবাসী মুক্তিপায় পাক-বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আল বদরদের হত্যা, লুট, আর নির্যাতনের হাত থেকে।

সে সময় থেকে ফেনীর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতি বছর এই দিনটি উদযাপন করে আসছে।

লে. কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রম বলেন, “ফেনীতে অবস্থান নিয়ে ৯ মাস মরণপণ যুদ্ধ করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত হয়।”

মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুল মোতালেব বলেন, “ফেনীর সব বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়নি। তাই তিনি স্মৃতিজড়িত সকল বধ্যভূমি দ্রুত সংরক্ষণের দাবি জানান।”

Link copied!