• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫
রাজবাড়ীর বন্যা পরিস্থিতি

পানিবন্দী সাড়ে সাত হাজার পরিবার


রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২১, ১২:২২ পিএম
পানিবন্দী সাড়ে সাত হাজার পরিবার

রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিনিয়ত বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় সাড়ে সাত হাজার পরিবার।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে সদর উপজেলার মাহেন্দ্রপুর পয়েন্টের পানির উচ্চতা। এছাড়া বিপদসীমার থেকে তিন সেন্টিমিটার কমেছে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পয়েন্টের পানি।

বন্যা পরিস্থিতির কারণে সাড়ে সাত হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় দিন পার করছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক। তিনি জানান, বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় উপজেলা প্রতি ১০ মেট্রিকটন চাল পাঠানো হয়েছে।

তবে ভিন্ন কথা বলছেন এলকাবাসী। তাদের অভিযোগ, গত কয়দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় অসহায় দিন পার করছেন তারা, খোঁজও নেননি।

সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের বাসিন্দা বারেক মোল্লা বলেন, “রাস্তা-ঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে আমাদের যাতায়াতের বেশ সমস্যা হচ্ছে। আমরা নিজ খরচে বাঁশের একটি সাকো বানিয়ে নিয়েছি।”

একই এলাকার আছিমা খাতুন বলেন, “বন্যার পানিতে সব ডুবে যাওয়ায় খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। রান্না করতে পারছি না। খাওয়া দাওয়ার কোনো ঠিক নেই।”

মিজানপুর ইউনিয়নের আব্দুল হালিম অভিযোগ করে বলেন, “আমার পানিবন্দী হয়ে দুঃখ কষ্টে থাকলেও এখনো কোনো চেয়ারম্যান আমাদের দেখতে আসে নাই, খোঁজও নেয় নাই।”

ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ভয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সালমা আক্তার। তিনি বলেন, “বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে খুব সমস্যায় আছি। সবসময় ভয়ে থাকি কখন ছোট বাচ্চা পানিতে পড়ে যায়।”

ঠিকমতো খাবার পানিও পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের সলিম শেখ। তিনি বলেন, “আমরা ঠিকমতন খাবার পানি পাচ্ছি না। আমাদের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা এখন সারাবছর খাবো কি?"
 

Link copied!