ঝুলিয়ে রাখা কাজের তাগিদ দেওয়ার অপরাধে পাবনা গণপূর্ত ভবনের নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস কক্ষে উপসহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ঠিকাদার মোকছেদুল আলম নয়ন পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।
আমিনুল ইসলাম বলেন, মারধরের শিকার গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বলেন, অনাকাঙ্খিত এই ঘটনা আমরা মেনে নিতে পারছি না। আমরা আইনের দারস্থ হয়েছি। পাশাপাশি ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষতে অবহিত করা হয়েছে। তাদের পরবর্তী নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করা হবে।
অভিযুক্ত ঠিকাদার মোকছেদুল আলম নয়নের গণপূর্ত বিভাগে কাজের লাইসেন্স বাতিল হবে কি না জানতে চাইলে আনোয়ারুল আজিম বলেন, ঘটনার দিনে ঠিকাদার নিজে কাজ করলেও লাইসেন্স ছিল অন্য ঠিকাদারের। তারপরও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তার লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। সেটাও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।
স্থানীয় ঠিকাদাররা জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম পাবনাতে যোগদানের পর থেকে কতিপয় ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে অনৈতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে একের পর এক কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন। তারা অভিযোগ করেন, তিনি ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ঠিকাদারের সঙ্গে গোপনে ব্যবসায়িক পাটনার হিসেবে কাজ করেন। এ ধরণের কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি সাধারণ ঠিকাদার মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন।
এবিষয়ে আনোয়ারুল আজিম বলেন, অভিযোগগুলো সঠিক নয়। এ ধরণের সম্পৃক্ততা নিয়ে কখনো নিরপেক্ষ ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব নয়। অভিযুক্ত ঠিকাদারের সঙ্গে যদি আমার কোনো ধরণের সম্পর্ক থাকতো তাহলে আমি প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার লাঞ্ছিতের ঘটনায় মামলা করতে বা পুলিশ প্রশাসনকে জানাতাম না।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝুলন্ত কাজগুলো দ্রুত শেষ করে দিতে তাগাদা দেওয়ায় মেসার্স নুর কন্সট্রাকশনের স্বত্তাধিকারী মোকছেদুল আলম নয়ন অকথ্য ভাষায় গালিগলাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন উপসহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারকে।