কলেজ খুললেও অনুপস্থিত লাঞ্ছিত সেই অধ্যক্ষ

ঈদের ছুটির পর নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজ খুলেছে। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজে আসেননি। 

রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, কলেজে শিক্ষার্থীরাও অনুপস্থিত ছিল। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে কলেজশিক্ষক ও কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। 

এদিকে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় করা মামলায় পুলিশ আরেক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে।

কলেজশিক্ষক ও কর্মচারীরা বলেন, কলেজে প্রায় সাড়ে ৩০০ শিক্ষার্থী আছেন। চালু আছে এইচএসসি ও স্নাতক শ্রেণি। রোববার কলেজে খুললেও কোনো শিক্ষার্থী কলেজে আসেনি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসও অনুপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, নড়াইল সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. সাজেদুল ইসলাম, মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম কলেজে এসে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

পুলিশ জানায়, শিক্ষককে অপদস্ত করার ঘটনায় আরেক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বয়স ১৭ বছর। সে কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। ওই ছাত্র অধ্যক্ষের মোটরসাইকেলসহ তিন শিক্ষকের মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত। শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই অভিযোগে গত শুক্রবার কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হান শেখকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক–তদন্ত (ওসির দায়িত্বে) মো. মাহমুদুর রহমান জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে সর্বশেষ একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে দুপুরে নড়াইল শিশু আদালতে সোপর্দ করা হয়। আর রায়হানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার নড়াইলের আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৮ জুন নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে।