মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নারী ফুটবল তারকা অ্যালেক্স মর্গ্যান। মা হতে চলেছেন- এমন খবর জানার পর সিদ্ধান্ত নিতে আর দেরি করেননি তিনি। মর্গ্যান দিয়ে ফেললেন অবসরের ঘোষণা। এর তিন দিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল উইমেন’স সকার লিগের ম্যাচ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সাফল্যে ভরা ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন দুবারের বিশ্বকাপ জয়ী এই স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন, জানতে পেতে গত বৃহস্পতিবার অবসরের ঘোষণা দেন মর্গ্যান। অনেক সাফল্যের নায়কের মাঠের ফুটবলের শেষটা যদিও সুখকর হয়নি; তার নেতৃত্বে সান দিয়েগো ওয়েভ ঘরের মাঠে ৪-১ গোলে হেরে গেছে নর্থ ক্যারোলিনা কারেজের বিপক্ষে।
২০২০ সালে প্রথম সন্তানের জন্ম দেন মর্গ্যান, পৃথিবীতে আসে তার মেয়ে চার্লি।
শেষ ম্যাচে ৩৫ বছর বয়সী মর্গ্যানের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও ভালো হয়নি; পেনাল্টি শট নিয়ে গোল করতে পারেননি তিনি। এর তিন মিনিট পরই তাকে তুলে নেন কোচ, ২৬ হাজার ৫১৬ জন দর্শকে ঠাসা পুরো গ্যালারি উঠে দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানায়।
ম্যাচ শেষে দর্শকদের উদ্দেশে মর্গ্যান বলেন, ‘কী সুন্দর এক পথচলা ছিল।’
নারী ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে ১৫ বছর মাঠ মাতিয়েছেন মর্গ্যান। ২০১৫ ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ জয়ী যুক্তরাষ্ট্র দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে দেশের হয়ে সোনার পদকও জয় করেন তিনি।
ক্যারিয়ারে অসংখ্য সাফল্যের নায়ক মর্গ্যান বিদায়বেলায় বললেন, ‘আমি আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা প্রতিনিয়ত আমাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এবং আরও ভালো খেলোয়াড় হতে উৎসাহিত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে অসংখ্য অবিশ্বাস্য মুহূর্ত আছে, তবে মাঠে কাটানো এই শেষ সময়ের স্মৃতি আমার সারাজীবন মনে থাকবে। মনের গভীর থেকে সবাইকে ধন্যবাদ।’
২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেকের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে মোট ২২৪ ম্যাচ খেলে ১২৩টি গোল করেছেন মর্গ্যান, সবসময়ের সর্বোচ্চ গোলকরাদের তালিকায় পঞ্চম।
অবশ্য এবছরের প্যারিস অলিম্পিকে সোনাজয়ী যুক্তরাষ্ট্র দলে ছিলেন না মর্গ্যান।