• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পাপন-সালাউদ্দিনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, নেপথ্যে কী?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৩, ১১:৫৫ এএম
পাপন-সালাউদ্দিনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, নেপথ্যে কী?

দেশের জনপ্রিয় খেলা ফুটবল ও ক্রিকেট। তবে সময়ের ব্যবধানে ক্রিকেট এখন ফুটবলের চেয়ে এগিয়ে গেছে  কয়েক গুন। ক্রিকেট যত এগিয়েছে ফুটবল যেন  ততই পিছিয়েছে। দেশের শীর্ষ ধ্বনি ক্রীড়া সংস্থা এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দেশের অন্যান্য খেলায় তাদের সাহায্যের হাত সবসময় বাড়ানো থাকে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে সাফের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। ১৯ বছর পর ফুটবলে এটাই ছিল বড় কোনো সাফল্য। মেয়েদের এই অর্জনে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বিসিবি। সেটা নিয়েই এবার পাল্টাপাল্টি অবস্থানে বিসিবি ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

অর্থের অভাবে  মিয়ানমারে প্যারিস অলিম্পিকের নারী ফুটবলের এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে খেলতে পারছে না বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়ে বাফুফে।

এরপর জরুরী সংবাদ সম্মেলন করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন মেয়েদের সাফ জেতায় যারা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা কেউ টাকা দেয়নি। এ সময়ে বিসিবির টাকা পেয়েছেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে সালাউদ্দিন বলেন, “বিসিবির টাকার ব্যাপারে আপনারা (সংবাদমাধ্যম) জানেন, আমরা কিছু জানি না।”

এর একদিনের ব্যবধানে বাফুফের বসের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন। তিনি বলেন, “বিসিবি গত অক্টোবরে মেয়েদের পুরস্কারের চেক স্বাক্ষর করে ফুটবল ফেডারেশনকে জানিয়ে দিয়েছিল; কিন্তু তারা আসে না। ওরা নিতে আসে না। এই বিষয়ে বেশি ভালো বলতে পারবে আমাদের সিইও। কদিন আগেও ওদের ফোন দেওয়া হয়েছে, ‘যে আসেন নেন ভাই’। ওরা তো আসে না। এখন কি করবেন?’’

তিনি আরও বলেন, “সাফ জয়ের পরপরই তারা (বিসিবি) পুরস্কারের টাকা দিতে চেয়েছিল; কিন্তু মেয়েরা ছুটিতে গিয়েছিল বলে তখন সম্ভব হয়নি। এখন আবার সুজন ভাই ফোন দিয়েছিলেন। মেয়েদের হাতে কখন-কিভাবে টাকা তুলে দেওয়া হবে, সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। দু-চার দিনের মধ্যে উনাকে জানিয়ে দেব আমি।”

বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্রীড়াপ্রীতি সবারই জানা। সরকারি কাজের ফাঁকে সময় বের করতে পারলেই তাকে দেখা বাংলাদেশের ম্যাচে। এমনকি আসতে না পারলেও বিসিবি সভাপতিকে ফোন দিয়ে প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নেন। এটা গণমাধ্যমে বেশ অকপটেই জানান পাপন।

তবে বাফুফে বস অবশ্য নিজেকে অন্য মেরুর দাবি করেন। তিনি বলেন প্রধাণমন্ত্রী তাকে ফোন দিলে সেটা সবাইকে ঢাকঢোল বাজিয়ে জানাতে চান না।  

সালাউদ্দিন বলেন,  “সবার পারসোনালিটি তো এক না। আমি তো পাবলিকলি দেখিয়ে ফোন করব না যে, এই দেখো, প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছেন। আই অ্যাম নট দ্যাট। আমি এটা করতে পারি না। কারণ আমি ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই এসেছি। স্বাধীনতা থেকে শুরু করে আজ অবধি। আমি তো এই নাটক করতে পারব না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে তার প্রাপ্য সম্মান দেব এবং সবাই তাকে সম্মান করে। কিন্তু আমি তো পাবলিকলি সেটা দেখাতে পারব না। স্যরি, মাই ক্যারেক্টার।”

তবে এদিন অবশ্য প্রধাণমন্ত্রীর ফোন পাওয়ার কথা জানান তিনি। মায়ানমারে দলে পাঠাতে না পারার বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর অভিভাবককে না জানানো ঠিক হয়নি বলে জানান তিনি।

“প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন দল পাঠানো হলো না। দল মিয়ানমার পাঠাতে কত টাকা লাগবে। প্রধানমন্ত্রী নাকি তাদের বলেছেন, আমি কেন তাঁকে আগে বিষয়টি জানাইনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে বলেছি, এখন টাকা দিলেও আর দল পাঠানো সম্ভব না। কারণ, নাম প্রত্যাহার হয়ে গেছে। আসলে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি না জানানো আমার ভুলই ছিল” যোগ করেন বাফুফে বস।

Link copied!