বাংলাদেশ দলের বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ সকলের চেয়ে ভালো করেন। দলের সব বোলার অসংখ্য রান দিলেও তাসকিন ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি ৪ ওভারে ১৬ রানে ২টি উইকেট লাভ করেন। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন তাসকিন। তিনি বলেন, `ভারতের রান বেশি হয়ে যাওয়ার আমরা হেরে গেছি। রান ১৮০ থেকে ১৯০ এর মধ্যে থাকলেও আমরা জিততে পারতাম।` তিনি আরও বলেন, `আমরা আগে থেকেই জানতাম, এই স্টেডিয়ামে রান বেশি হয়। কিন্তু আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারি নাই।` ভারতের অরুন জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এরআগে বাংলাদেশ তাদের দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছিল। তাই কিছুটা আশা ছিল। গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারার পরও তাই সফরকারী বাংলাদেশ লড়াই করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলটির সিংহ ভাগ খেলোয়াড় না থাকার পরও দ্বিতীয় ম্যাচেও সহজেই পরাজিত হলো বাংলাদেশ। ম্যাচে ভারত ৯ উইকেটে ২২১ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ৮৬ রানে জিতলো। বাংলাদেশ টসে জিতেও পরে ব্যাটিং করে তুললো ৯ উইকেটে মাত্র ১৩৫ রান। ভারতের নিতিশ কুমার রেড্ডি অস্বাভাবিক তান্ডব চালান বাংলাদেশি বোলারদের ওপর। তিনি মাত্র ৩৪ বলে ৭টি ছক্কায় ৭৪ রান করেন। আবার বল হাতে ২৩ রানে নেন ২টি উইকেট। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। এছাড়া, রিংকু ২৯ বলে করেন ৫৩ রান। বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ ৪১ রান করেন। সবমিলে এক ম্যাচ অবশিষ্ট থাকতেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেললো স্বাগতিকরা। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারত জেতে ৭ উইকেটে। বাংলাদেশের মাত্র ১২৭ রানের জবাবে ভারত ১১.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করে। বাংলাদেশ ও ভারতের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১২ অক্টোবর।
