রাজধানী ঢাকার মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে হারার পর আশা করা হয়েছিল, চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে হয়তো বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। কিন্তু এখানে আরও বেহাল অবস্থা স্বাগতিকদের।
চট্টগ্রামে বুধবার চরম বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। আলোক স্বল্পতার কারণে এই দিনের খেলা শেষ হয়েছে আগেভাগেই। তার আগেই মাত্র ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। উইকেটে আছেন মমিনুল হক (৬) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৪)।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৫৭৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বোলিংয়ের পর ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে মাত্র দুই দিনেই বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ৫৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে।
বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম ওভারেই ওপেনার সাদমান ইসলামকে (০) আউট করেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটার।
সর্বশেষ ৩ ইনিংসে দুইবারই ডাক মারলেন সাদমান। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪ বলে খেলে ০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। ওই টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ বলে মাত্র ১ রান করেন সাদমান।
এরপর জাকির হাসানও (২) হন রাবাদার শিকার। তিনি উইকেটের পেছনে ভেরেইনের হাতে ধরা পড়েন।
ষষ্ঠ ওভারে ডেন পিটারসনের চতুর্থ বলে কভার ড্রাইভে চার হাঁকান ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। পরের বলেই দ্বিতীয় স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ধরা পড়েন এই ডানহাতি। এরপর নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে হাসান মাহমুদকে নামায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে আউট হয়ে যান হাসানও (৩)। কেশব মহারাজের ঘূর্ণিতে আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটার।
এর আগে ৩ সেঞ্চুরি আর ২ ফিফটিতে ৫৭৭ রান তোলার পরই ইনিংস ঘোষণা দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৪৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাইজু্ল ইসলামকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুলদার। ষষ্ঠ উইকেটে ১৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি করেন মুলদার ও মুথুসামি।
এই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো বাকি দুই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার হলেন টনি ডি জর্জি (১৭৭) ও ত্রিস্টান স্টাবস (১০৬। মুথুসামির সঙ্গে ফিফটি করা অন্য ব্যাটার হলেন ডেভিড বেডিংহাম (৫৯)। মুলদারের সঙ্গে ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন সেনুসান মুথুসামি।
বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম একাই নেন ৫ উইকেট। এ নিয়ে ১৪তম বার টেস্টের এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। বাকি এক উইকেট নেন পেসার নাহিদ রানা।