• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মিরপুরে বন্ধের দিনে অনুশীলন করলেন তাসকিন-লিটন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৩, ০৮:০২ পিএম
মিরপুরে বন্ধের দিনে অনুশীলন করলেন তাসকিন-লিটন
অনুশীলন করছেন তাসকিন

বাংলাদেশ দলের পেস লাইন আপে প্রধান অস্ত্র এখন তাসকিন আহমেদ। বোলিং আক্রমণে অধিনায়কের ভরসার নামটিও তিনি। নিজেও জানেন টিম ম্যানেজমেন্ট তার ওপর কতখানি প্রত্যাশা করেন। তার পরে এশিয়া কাপের আগে ইনজুরি ছিটকে দিয়েছে এবাদতকে। এবাদতের ছিটকে যাওয়াটা বড় ধাক্কায় বললেন বাংলাদেশ দলের কোচ ও অধিনায়ক।

আজ মিরপুরে ছিল ক্রিকেটারদের ছুটির দিন। ছুটি থাকলেও মাঠে অনুশীলন করেন তাসকিন আহমেদ। পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে শেষ দিকে সেভাবে অনুশীলনে ছিলেন না তাসকিন আহমেদ। ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতে তৃতীয় সন্তানের বাবা হয়েছেন। পারিবারিক ব্যস্ততার মধ্যে থাকায় অনুশীলন ঠিকঠাক ভাবে করতে পারেননি। ঘাটতি পুষিয়ে নিতে শনিবার ছুটির দিনে মিরপুর একাডেমিতে একা একাই ঘাম ঝরালেন তাসকিন।

খালি চোখে তাসকিনের বোলিং দেখে মনে হয়েছে, তিনি পুরো দমেই গতি তুলেছেন। লাইন-ল্যান্থেও বেশ হিসেবী ছিলেন এই পেসার। অফ স্টাম্পের বাইরে গুড ল্যান্থে মার্কার রেখে সেটার ওপর বল ফেলার চেষ্টা করেছেন। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে অবশ্য একাধিকবার তার ইনসুইয়ে উপড়ে গেছে একমাত্র স্টাম্প। যে ডেলিভারীতে স্টাম্প ভেঙেছে সেগুলোতে তৃপ্তি দেখা গেছে তাসকিনের চোখে-মুখেও।

সবমিলিয়ে শনিবারের অনুশীলনে বেশ সাবলীল ছিলেন তাসকিন। বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করেননি। লাইন আর ল্যান্থের ওপর শেষের আচড়টা দিয়েছেন শুধু। কারণ আগামীকালই এশিয়া কাপের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে সাকিব এন্ড কোং।

অনুশীলন করছেন লিটন দাস। ছবি: সংগৃহীত

ছুটির দিনে ব্যাক্তিগত অনুশীলনে দেখা গেছে লিটন দাসকেও। বিকেএসপিতে থেকে উড়ে এসেছিলেন তার ছোট বেলার কোচ মন্টু দত্ত। দিয়েছেন লিটনকে টোটকা। একাডেমি মাঠে লিটনের ব্যাটিংয়ে বেশ কিছুক্ষণ নজর রেখেছিলেন মন্টু। দেখিয়েছেন সমস্যাগুলো, লিটন সেগুলোর সমাধানের চেষ্টাও করেছেন।

এদিকে, একটা সময় বাংলাদেশ ছিল স্পিন নির্ভর দল। কিন্তু সময়ের সঙে সঙে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। বাংলাদেশ এখন স্পিন নির্ভর দল নয়। দারুণ করছে দলটির পেসাররা্ও। গত কয়েক বছরে পেস বোলিং বিপ্লবের একজন সদস্য ছিলেন এবাদত হোসেন। ইনজুরি তাকে ছিটকে দিয়েছে এশিয়া কাপ থেকে। ১২ ম্যাচেএই পেসার নিয়েছে ২২ উইকেট। তাকে দলে না পাওয়ায় কিছুটা হতাশ সাকিব আল হাসান।

টাইগার কাপ্তান বলেন, “ দুর্ভাগ্য যে এবাদত আমাদের দলের অংশ হতে পারছে না। ও আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। সে জায়গা থেকে সেট ব্যাক। তারপরও বলবো যে ধরনের প্রস্তুতি ও স্কোয়াড আছে আমরা অনেকদূর যেতে পারবো। কিন্তু প্রথম বিষয় হলো আমাদের প্রথম দুইটা ম্যাচ খেলতে হবে। কোয়ালিফাই করতে হবে। ”

একই প্রশ্ন টাইগার কোচকে করা হলে তিনি বলেন,”‘এটা ভালো প্রশ্ন। এবাদত আমাদের ইম্প্যাক্ট বোলার ছিল। শেষ কয়েকটি সিরিজে খেলা পাঁচজন পেসারের মধ্যে সবচেয়ে জোরে বল করতো ও। তাই এটা অনেক বড় না পাওয়া, তার সরাসরি বিকল্প খোঁজে বের করাও কঠিন কাজ। আশা করি সে দ্রুতই সেরে উঠবে।”

Link copied!