চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যে সুপার এইটের দুই নম্বর গ্রুপের কঠিন সমীকরণের লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিজটাউনে আজ রোববার রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
২টি করে ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। এক ম্যাচ জিতেছে ইংলিশরা। অন্যদিকে, দুই ম্যাচে হেরে বাদ পড়ার শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র।
ইংল্যান্ডের কাছে হারলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বড় ব্যবধানে ইংল্যান্ডকে হারালে আশা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচে তাকিয়ে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বড় ব্যবধানে হারলে, রান রেটে এগিয়ে থেকে সেমির টিকিট পাবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কাজটি কঠিন।
গ্রুপপর্বে চমক দেখালেও, সুপার এইটে তা পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৮ রানে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছে তারা। তবে শেষ ম্যাচ জিততে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র।
দলের ওপেনার আন্দ্রিস গাউস বলেন, ‘শেষ ম্যাচে জিতলেও সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা থাকবে আমাদের। তাই আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নামবো।’
অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারালেও পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৭ রানে হেরে যায় ইংল্যান্ড।
সেমির দৌড়ে টিকে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জিততেই হবে ইংল্যান্ডকে। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতলে ও অন্য ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারলে সেমির টিকিট পাবে ইংলিশরাই।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে গেলেও সেমির সুযোগ থাকবে ইংল্যান্ডের। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে হারতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তখন রান রেটে এগিয়ে থাকলে সেমিতে খেলার সুযোগ থাকছে ইংল্যান্ডের। বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান রেট ১.৮১৪, ইংল্যান্ডের ০.৪১২ ও যুক্তরাষ্টের -২.৯০৮।
আবার যদি গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় পায়, তখন দক্ষিণ আফ্রিকাসহ এই তিন দলের রান রেট বিবেচনা করা হবে। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ৪ পয়েন্টের সাথে ০.৬২৫ রান রেট আছে প্রোটিয়াদের। আর শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে কেউ হারলেই সেমির টিকিট পেয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা।