এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৫৮ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সাদিরা সামারাবিক্রমার ৯৩ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান করেছেন লঙ্কানরা। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
লঙ্কানদের হয়ে ইনিংসের শুরুটা করতে আসেন দিমুথ করুনারত্নে ও পাতুম নিশাঙ্কা। শ্রীলঙ্কার হয়ে দারুণ একটা শুরু এনে দেন এই দুই ওপেনার। ওভার প্রতি প্রায় ৫.৫০ গড়ে রান তোলেন এই দুই ওপেনার। এরপর হাসান মাহমুদের আঘাত। ১৭ বলে ১৮ রান করা করুনারত্নকে ফেরান তিনি। দলীয় ৩৪ রানের সময় বিদায় নেন লঙ্কান এই ব্যাটার।
এরপর কুশল মেন্ডিস জুটি গড়েন পাতুম নিসাঙ্কার সঙ্গে। ৭৪ রানের এই জুটি যখন টাইগারদের জন্য মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠে তখনি শরীফুলের আঘাত। শরীফুলের স্লোয়ারে ব্যাট নামাতে দেরি করে ফেলেছেন নিসাঙ্কা। আম্পায়ার পল উইলসনের দেওয়া এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ করেছিলেন, তবে বাঁচেননি। বল ব্যাটের আগে লেগেছে প্যাডে, ইমপ্যাক্টে আম্পায়ার্স কল। নিসাঙ্কা থেমেছেন ৬০ বলে ৪০ রান করে, যিনি জীবন পেয়েছিলেন ৩৬ রানে।
নিসাঙ্কা না পারলেও কুশল মেন্ডিস তুলে নেন অর্ধশতক। তবে হাফসেঞ্চুরির পর শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ডিপ থার্ডম্যানে থাকা তাসকিনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুশল মেন্ডিস। ২৯ রানে জীবন পাওয়া মেন্ডিস শরীফুলের বলেই থামলেন ঠিক ৫০ রান করে।
চতুর্থ উইকেটে সাদিরা সামারবিক্রমার সঙ্গে জুটি গড়তে উইকেটে আসেন চারিত আসালাঙ্কা। দুজন ভালোই খেলে নিজেদের জুটিটাকে বড় করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তা হতে দেইনি। তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের স্লোয়ারে তুলে মারতে চেয়েছিলেন আসালাঙ্কা। মিড অনে থাকা সাকিব তাঁর ডানদিকে ছুটে নিয়েছেন ক্যাচ। আসালাঙ্কা থেমেছেন ২৩ বলে ১০ রান করে।
উইকেটে থিতু হতে পারেননি ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। হাসানের করা অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে খোঁচা দিয়েছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ মুশফিকের। ৪০তম ওভারের আগেই পঞ্চম উইকেট হারিয়ে চাপ আরও বেড়েছে শ্রীলঙ্কার। ৩৭.১ ওভারে ১৬৪ রান স্বাগতিকদের।
তবে, দল যখন চাপে তখন ব্যাট হাতে দারুণ খেলে যাচ্ছেন সামারাবিক্রমা। পেলেন অর্ধশতক। ৪৫ বলে ফিফটি হয়ে গেছে সামারাবিক্রমার।
এরপর ধীরে ধীরে দলকে তুলে আনার চেষ্টা করেন সামারাবিক্রমা ও দাসুন শানাকা। পরের ৫ ওভারে ৪৩ রান তুলে শ্রীলঙ্কা রানটাকে বেশ ভালো অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার আভাস দেয়। কিন্তু এরপর আবারও বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান বোলাররা। সাকিব ৪৪তম ওভারে ৪ রান দেওয়ার পর ৪৬তম ওভারে এসে ৫ রান দেন। ৪৫ ওভারে আবার খরুচে বোলার তাসকিন। সেই ওভারে তাসকিন দেন ১১ রান। ৪৭ তম ওভারেই দুর্দান্ত বোলিং করেন হাসান মাহমুদ, দেন কেবল ৩ রান। ওই ওভারেই দাসুন শানাকাকে বোল্ডও করেন হাসান।
তবু হাল ছাড়েননি সামারাবিক্রমা। সাকিবের করা ৪৮তম ওভারে ১১ রান নেওয়ার পরেরটিতে হাসান মাহমুদকে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান। তাসকিন আহমেদের শেষ ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ওই ওভারেও একটি চার ও ছক্কা হাঁকান। ৮ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৭২ বল খেলে ৯৩ রান করেন সামারাবিক্রমা।
বাংলাদেশের তিন পেসারের মধ্যে তাসকিন ও হাসান মাহমু তিনটি করে উইকেট নেন।